যার মধ্যে নতুন জেলা সভাপতিদের তালিকায় নতুন মুখ ১৫ জন। দক্ষিণ কলকাতা সহ একাধিক জেলার জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে।
নতুন সাংগঠনিক জেলা যাদবপুরের নতুন জেলা সভাপতি পদে বসানো হল কুন্তল চৌধুরীকে।
কলকাতা দক্ষিণ জেলা সভাপতির দায়িত্ব এতদিন সামলেছেন সংঘমিত্রা চৌধুরী। তাঁর পরিবর্তে কলকাতা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি করা হলো অনুপম ভট্টাচার্যকে।
advertisement
আরও পড়ুন- আলতো আলিঙ্গন, শোভনের বাহুডোরে বৈশাখী! বন্ধুত্ব-দিবসে আদরমাখা পোস্ট…
আলিপুরদুয়ারের নতুন জেলা সভাপতি করা হল বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে।
এছাড়াও পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, বিমান ঘোষ, তাপসী মণ্ডল, অমরনাথ শাখা-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল। শিলিগুড়ির পাশাপাশি বনগাঁ, আসানসোল, আরামবাগ, বারাসাত, ব্যারাকপুর, তমলুক, কাঁথি সহ একাধিক সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি বদল করা হয়েছে।
নতুন জেলা হিসেবে জঙ্গিপুরের আত্মপ্রকাশও করা হয় আজ, রবিবার।
বিজেপি সূত্রের খবর, যে সমস্ত জেলা সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হল তাঁদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ দলীয় স্তরে আসছিল। লোকসভা ভোটের আগে এক প্রকার নতুন মুখকে সামনে রেখেই সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। কয়েকদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ খোয়ান দিলীপ ঘোষ। এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বিজেপির একাধিক সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতিদেরও পদ থেকে সরিয়ে দিল রাজ্য নেতৃত্ব। রবিবার যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে সেখানে অনেক জেলার জেলা সভাপতিদের আবার পুনর্বহালও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন তালিকা সামনে আসার পর বিভিন্ন নেতৃত্বের মধ্যে আদি নব্য দ্বন্দ্বের ক্ষোভ দানা বেঁধেছে বলে বিজেপির একটা সূত্র দাবি করছে। জেলা সভাপতি বদল এবং নতুন জেলা সভাপতি মনোনীত হওয়া ১৫ জন নতুন মুখকে অবিলম্বে সাংগঠনিক কাজে নেমে যাওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে বলে দলীয় সূত্রের খবর। যে সমস্ত জেলা সভাপতিদের বদল ঘটানো হলো, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের সাংগঠনিক জেলায় আশানুরূপ ফল না হওয়ার কারণেই তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়া হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। লোকসভা ভোটের আগে দলীয় স্তরে শুধুমাত্র বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতিদের সরিয়ে দিয়ে ঝাঁকুনি দেওয়াই নয়, আগামী দিনে সাংগঠনিক স্তরে আরও বেশ কিছু বদল করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।