আরও পড়ুনঃ বর-বউ থেকে মা-ছেলে! কোজাগরি থেকে চিরসখা! জানেন কি ‘আসলে’ বয়সের কত ফারাক অপরাজিতার-রাজার
তিনি বলেন, ভারতের ‘আগামী দিনের সূর্য’ অর্থাৎ দেশের যুবসমাজকে আমরা নেশামুক্ত কর্মসূচিতে আহ্বান জানাই। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরেও নরেন্দ্র মোদির ৭৫ বছরের জন্মদিনে ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে ‘সেবাঠ পক্ষকাল’ শুরু হচ্ছে। চলবে ২রা অক্টোবর পর্যন্ত। সল্টলেক বিজেপি পার্টি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেবার মাধ্যমে কীভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে হয় সেটা দেখিয়েছেন। তাঁর পথ অনুসরণ করে ভারতীয় জনতা পার্টি।
advertisement
তিনি বলেন, আগামী ২১ তারিখ আমরা পিতৃপক্ষ শেষ করে দেবীপক্ষে পদার্পণ করছি এবং নরেন্দ্র মোদিজীর জন্মদিনে বরাবরই আমরা সেবাকে বেছে নিয়েছি। ওনার জন্মদিন আমরা একটি বিশেষ দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি, যেখানে আমরা যেন আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারি। মহালয়ার দিন অর্থাৎ ২১ তারিখ কলকাতার বুকে এবং শিলিগুড়িতে নমো ম্যারাথনের আয়োজন করবে বিজেপি। সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দেশে একই সময় একই দিনে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন শহরে পালিত হবে এটি। কলকাতায় স্বামীজীর বাড়ি থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি পর্যন্ত আমাদের নমো ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।
লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতার বিভিন্ন কলেজ, বিভিন্ন এনজিও থেকে অনেক মানুষ আমাদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। তাই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা সকলকে এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করছি। আমাদের যুব মোর্চার নেতৃত্বে এই নমো ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।”
দেশজুড়ে কীভাবে অনুষ্ঠান পালনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা জানাতে গিয়ে দলের নেতা ভূপেন্দ্র যাদব ও সুনীল বনসল বলেন, ”রাজনীতিকে জনতার সেবা করার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে এসেছেন মোদি। তাই তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে গোটা সপ্তাহ জুড়ে ‘সেবাপক্ষ’ চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে সেবামূলক কাজের উদ্দেশ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় রক্তদান শিবির করবেন বিজেপি কর্মীরা। বসানো হবে স্বাস্থ্য শিবির। যাতে গরিব মানুষেরা বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে পারেন। হবে বৃক্ষরোপন।” প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি যে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের নিকটে পৌঁছতে চাইছে সে কথা বলা বাহুল্য। অন্যদিকে রাজ্য জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবেও তারা এটিকে বেছে নিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।