২০১৩ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে হয় শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফল প্রকাশ হয় পরীক্ষার। ইতিমধ্যে এই নিয়োগ পরীক্ষা থেকে ৩১৮৩ জন শিক্ষক নিযুক্ত করেছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। শারীর শিক্ষা বিষয়ের নির্দিষ্ট ভাবে ৯টি প্রশ্ন ভুল বলে আদালতে মামলা ঠোকেন শেখ আব্বাস আলি-সহ ২ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের অভিযোগ ছিল বি (B) -সিরিজের ৯টি প্রশ্ন ভুল নতুবা প্রশ্নের দেওয়া উত্তরের 'অপশন' ভুল। মামলাকারির আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, ‘‘বি-সিরিজের ২, ৩, ২১, ২৪, ২৬ ৩৩, ৩৫, ৪০, ৪৯ দাগ নম্বরের প্রশ্ন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় হাই কোর্টে। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।’’
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ৯ সেপ্টেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই মাদ্রাসা সংক্রান্ত মামলাগুলির বিচারের ভার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিচারের দায়িত্বে আসেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। মাদ্রাসায় বেঞ্চ বদল হলেও দুই বিচারপতি কার্যত একই দৃষ্টিভঙ্গি রাখলেন প্রশ্ন ভুল মামলায়।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও রিপোর্ট তলব করেন এক পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায়। ওএমআর সিট এবং পরীক্ষায় ব্যবহার হওয়া কলম সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর সেই রিপোর্ট আসার কথা। মাদ্রাসা কমিশনের নতুন বিচারপতির বেঞ্চেও অস্বস্তি অব্যাহত থাকল বৃহস্পতিবার।
আরও পড়ুন- 'চাকরিতে মেধা, ঝাণ্ডা ধরলে গাধা'! বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগের দৃষ্টান্ত দেখালেন বিমান বসু
এর আগে প্রশ্ন ভুল নিয়ে সবথেকে বেশি বিতর্ক হয় প্রাথমিক টেট ২০১৪ ও তার প্রশ্নকে ঘিরে। সে বারও প্রায় এক ডজনের কাছাকাছি প্রশ্ন ভুল বলে অভিযোগ ওঠে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে প্রশ্ন ভুল বিতর্কের নিষ্পত্তি করে আদালত। ৩ অক্টোবর ২০১৮ সালে প্রাথমিক টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় ছয় প্রশ্নকে ভুল বলে চিহ্নিত করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। চার বছর কেটে গেলেও ছয় প্রশ্ন ভুল মামলার জের এখনও বইতে হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।