শুক্রবার দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা চলাকালীনই একটি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতার ছবি ট্যুইট করেন সুকান্ত। সেই পোস্টের ক্যাপশানে সুকান্ত দবি করেন, ওই তিনটি পাতা হল, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ১৬ পাতার ইংরেজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতা। দাবি করেন, পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই তিনটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাহলে কি, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে?যদিও পরে তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই বোঝা যাবে এটি এবারের প্রশ্নপত্রের পাতার ছবি কি না।
advertisement
আরও পড়ুন: নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন শিল্পী, বদলে শুভাপ্রসন্নের বিরুদ্ধে খাল চুরির অভিযোগ তুললেন কুণাল
সুকান্তের এহেন অভিযোগ সামনে আসার পরেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য জানান, কোনও ছাত্রছাত্রী এভাবে প্রশ্নফাঁস করে আনন্দ পেলে তাঁর কিছু বলার নেই। তবে পরীক্ষার মাঝখানে এই ধরনের ট্যুইট করা কতটা উচিত, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্রের ছবি পোস্ট করার ঘটনাকে বিধিভঙ্গের পর্যায়ে ফেলছেন অনেকেই। তবে পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা পরে প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার বিষয়টি বিধিভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার পরীক্ষা শুরু হয় ১২টা নাগাদ। তার কিছুক্ষণ পরেই, অর্থাৎ, ১টা ৪২ মিনিটে টুইটারে সুকান্ত লেখেন, 'আজ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। সকল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই। যদিও আজ সকাল থেকেই এ বারের মাধ্যমিক পরিক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন: ২৩ একর জমির মালিক গোপাল! খুলতে চেয়েছিলেন বি এড কলেজও, কোথা থেকে আসত এত টাকা?
জানা গিয়েছে, যে প্রশ্নপত্রের ছবি সুকান্ত তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন, সেই প্রশ্নপত্র এবছরেরই। কিন্তু পরীক্ষার পরেও ওই প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিয়ে আসার নিয়ম নেই। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেই কোনও পড়ুয়া লুকিয়ে মোবাইলে এই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে থাকতে পারে বলে অনুমান পর্ষদের। কিন্তু, পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও পড়ুয়া কী ভাবেই বা মোবাইল নিয়ে ভিতরে গেল, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের ভূমিকাও।
তবে, সুকান্ত জানান, এদিনের পরীক্ষা শুরুর ৮ মিনিটের মাথাতেই তাঁর মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চলে আসে। তাঁর দাবি, মালদা জেলাজুড়ে ভাইরাল হয়েছিল এই প্রশ্নপত্রের ছবি। এর পাশাপাশি, সুকান্ত এ-ও দাবি করেন, প্রশ্নপত্রটি তৃণমূলের যুব শাখার কোনও নেতাই ফাঁস করেছেন।
অন্যদিকে, প্রশ্নপত্র ইস্যুতে সুকান্তের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, এমন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিয়ে এই ধরনের সস্তা রাজনীতি করা কখনওই উচিত নয়।