জানা গিয়েছে, সূর্যপুর হাই স্কুলে সিট পড়েছিল বেলান হাই স্কুলের ওই পড়ুয়ার। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই দেখা যায় খাতা দু’টকরো করে জমা দিচ্ছে ওই পড়ুয়া। গোটা বিষয়টি লক্ষ্য করেন ইনভিলেটররা। যদিও, অভিযোগ জমা পড়লেও বাকি পরীক্ষা দিতে পারবে ওই পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে একাধিক বিয়ে! স্বামীদের থেকে টাকা হাতিয়ে আটক মহিলা
advertisement
শনিবারেও, পরীক্ষা বাতিলের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এইদিন তিন পরীক্ষার্থীর কাছে থেকে মোবাইল পাওয়া গিয়েছে । ওই তিন জনের পরীক্ষাই বাতিল করা হয়েছে। হুগলির রিষড়া স্বতন্ত্র হিন্দি বিদ্যালয়, কলকাতার বদরতলা হাই স্কুল এবং পুরুলিয়া নেতাজি বিদ্যাপীঠের ওই তিন পড়ুয়ার কাছ থেকে পরীক্ষা চলাকালীনই মোবাইল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: টুকলি করতে দিতে হবে! স্কুলে হামলা ছাত্রদের! প্রতিবাদ শিক্ষকদের, হাতাহাতি কাণ্ড
অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি ছিল যথাক্রমে হুগলির রিষড়া ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র হাই স্কুল, কলকাতার বটতলা হাই স্কুল এবং পুরুলিয়ার নেতাজি বিদ্যাপীঠ। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই মোবাইল উদ্ধার করেন পরীক্ষকরা।
প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এই বছর মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে কিউআর কোডের সঙ্গে সিরিয়াল নম্বর-সহ ‘ওয়াটার মার্ক’ রাখা হয়েছে। এর ফলে কেউ কিউআর কোড ঢেকে ছবি তোলার চেষ্টা করলেও ‘ওয়াটার মার্ক’-এর সাহায্যে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব, কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে। কিন্তু, এরপরেও মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার প্রবণতা চিন্তা বাড়িয়েছে পর্ষদের। এ ছাড়াও এইদিন পর্ষদ পক্ষ থেকে জানান হয়, মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনে অসুস্থতা এবং অন্যান্য কারণবশত মোট ৬৮ জন পরীক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। ফলে বেশ ঘটনা বহুল কাটল মাধ্যমিকের তৃতীয় দিন।