মদন মিত্র একইসঙ্গে জানান, “ভবিষ্যতে এমন আচরণ করা থেকে বিরত থাকব। আমার যে মন্তব্য বলে প্রচার করা হচ্ছে তা ‘এডিট’ করা হয়েছে। যা প্রচার হচ্ছে তাতে আমার সম্পূর্ণ বক্তব্য শোনানো হয়নি।” দুঃখপ্রকাশ করে দলকে এই মর্মে চিঠি দিলেন মদন মিত্র।
advertisement
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দল রবিবারই শোকজ করেছিল মদন মিত্রকে। তাঁর মন্তব্যের জেরে দলের ইমেজে কোনও ক্ষতি হলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী বলেই লিখিত ভাবে জানান, মদন মিত্র। এই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের শোকজ চিঠির জবাবে লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। মদন মিত্র এও জানিয়েছেন, এবার থেকে দলের অনুশাসন মেনেই চলবেন।
দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। পুলিশি তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তিন অভিযুক্ত। সেই সময়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্যাতিতার চালচলন নিয়েই আপত্তিকর মন্তব্য করে বসেন। তাঁর সেই মন্তব্য কার্যত আগুনে ঘি ঢালে। শাসকদলের জনপ্রিয় নেতার এই মন্তব্যের দায় পরোক্ষে এসে পড়ে দলেরই উপর। মদন মিত্রর এহেন মন্তব্য দলের ভাবমূর্তিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে, জানিয়ে রবিবার তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি তাঁকে শোকজ চিঠি পাঠান। তিনদিনের মধ্যে তাঁর জবাব চাওয়া হয়।