মদন বলেন, ” সিবিআই এসেছেন আমার বাড়িতে। মা আসছেন। যা কথা বলেছেন, জানতে চেয়েছেন, বলেছি। যখন চাকরি হয়েছে এই সব পুরসভায়, তখন আমি জেল কাস্টডিতে ছিলাম। কীভাবে এত পাওয়ার থাকতে পারে একটা বিধায়কের। দক্ষিণেশ্বরে আমার বাড়ি না অফিস, সেখানে একজন রক্ষী থাকে। চাকরিপ্রার্থীরা সেখানে আসলে ডান্ডা মেরে তাড়াতে পারি না। সেখানে চাকরির জন্য এসেছিল হয়ত। তবে চাকরি পেয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরি।”
advertisement
আরও পড়ুন: তল্লাশির মাঝেই ফিরহাদের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই-এর ৫ গাড়ি, জল্পনা বাড়ছে ক্রমশ
কী পেল আপনার বাড়িতে সিবিআই? প্রশ্নের উত্তরে মদনের জবাব, ”সিবিআই লিখে দিয়েছে কোনও কিছুই সিজ হয়নি। পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। শীল (অয়ন) আর ঝিল দেখে যদি আসে আমার কিছু করার নেই। মদন মিত্র বুকের পাটা ফুলিয়ে বলছি, ছেলে মেয়ের চাকরির জন্য আজীবন লড়াই করব। তবে দুর্নীতি যদি প্রমাণিত হয়, নিজে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে যাব।” মদন এও বলেন, ”সিবিআই জিজ্ঞেস করেছিল কটা বউ?”
আরও পড়ুন: দমদম পুরসভার চেয়ারম্যানকে তোলা হল সিবিআই-এর গাড়িতে, গেলেন কোথায়? জল্পনার অবসান
মদনের সংযোজন, ”সিবিআই আমাকে ভালোবাসে। জানে এখানে আসলে অনেক ক্যামেরা আসবে । মোদি যা রাহা হ্যাঁ, ইন্ডিয়া আ রাহা হ্যাঁ। যতবার আসবে ততবার উত্তর দেব। সহযোগিতা করব। তবে তারপর তাদেরও উত্তর দিতে হবে, মদন মিত্রের মতো সাচ্ছা নেতা আর নেই।” এদিন সিবিআই তল্লাশি শেষে মদন মিত্রের আইনজীবী নীলাদ্রি ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘তদন্তে সহযোগিতা করেছেন মদন মিত্র। তাঁর বাড়ি থেকে কোনও নথিও পাওয়া যায়নি। কিছু সিজ করা হয়নি।’’
কিন্তু, হঠাৎ মদন মিত্রের বাড়িতে কেন গেল সিবিআই৷ তা নিয়েই সংশ্লিষ্ট মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ সিবিআই সূত্রের খবর, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত অয়ন শীলের ডায়েরিতে সাংকেতিক চিহ্নে লেখা ছিল কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম। আর তাঁর মধ্যেই একটি ছিল ‘এমএম’। এই ‘এমএম’ আসলে কে? সেটাই জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। আর তাই মদন মিত্রের বাড়িতে রবিবার এই তল্লাশি। সূত্রের খবর, মদন মিত্র অয়ন শীলকে চিনতেন কি না, চিনলেও, তাঁদের মধ্যে কতটা পরিচিতি ছিল, সেটাই তদন্তের মাধ্যমে আন্দাজ করতে চেয়েছিলেন গোয়ন্দারা৷