এমনিতে রংচঙে মেজাজের প্রবীণ হয়েও 'এভারগ্রীন' বিধায়ক মদন মিত্র এদিন যেন ছিলেন একটু বেশিই রংচঙে। পরনের পোশাক থেকে পায়ের জুতো সবেতেই ছিল এক পুজো পুজো আমেজ। আর তার সেই সাজ নজর কাড়তে কোনও কসুর করেনি সংবাদমাধ্যমের।
আরও পড়ুন: বড় খবর! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়
advertisement
পরনে কালো সিল্কের পাঞ্জাবি আর সরু জরি পার কমলা ধুতি যেন আরও ঝলমলে করে তুলেছিল রঙিন মন-মেজাজের সদা হাস্যময় বিধায়ক মদন মিত্রকে। তবে ধুতি ও পাঞ্জাবি ছাড়িয়ে সকলের নজর আরও বেশি করে যা কাড়ছিল তা হল প্রবীণ বিধায়কের পায়ের ছেলেমানুষি স্টাইলের জুতো জোড়া। সাধারণত শিশুদের পায়ে যে ধরণের জুতো দেখা যায় তেমনই নানা কার্টুন চরিত্রের ছবি চিত্রায়িত একটি মজাদার জুতো পায়ে পরেছিলেন মদন মিত্র। আর তাতেই সবার চোখ ছিল কামারহাটির বিধায়কের পায়ে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মদন মিত্র জানান সাউদার্ন এভিনিউ-এর একটি শপিং মলে নাতির সঙ্গে গিয়েছিলেন বিধায়ক। আর সেখানেই নাতি নিজে পছন্দ করে দাদুকে কিনিয়েছে এই ছেলেমানুষি জুতো। আর পুজোর মুখে নতুন সেই জুতো পায়ে গলিয়েই সোজা বিধানসভায় হাজির হন মদন মিত্র।
মুহূর্তে যেন বিধায়সভার দমবন্ধ করা 'উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায়' কিছুটা হলেও ছেদ পড়ে। পুজোর মুখে বিধানসভার শ্বেতশুভ্র অলিন্দে কিছুক্ষণের জন্য যেন বয়ে যায় একঝলক টাটকা বাতাস।
উল্লেখ্য, এরপরই অবশ্য নিজস্ব মেজাজে ফিরে আসে বিধানসভার অলিন্দ। এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ‘ডোন্ট টাচ’ মন্তব্যকে বিদ্রুপ করে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘তাহলে কি উনি আত্মবিশ্বাসী নয় উনি পুরুষ না মহিলা? একজন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলছেন ডোন্ট টাচ মাই বডি তাহলে কি ওনার শরীর স্পর্শ করা যাবে না? উনি কী বলতে চাইছেন?’ পরবর্তীতে ওয়াক আউট প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক জানান, ‘আমরা যখন বিরোধী দল করেছি কখনও ভাবিনি ডোন্ট-টাচ-মাই বডি। আমাদের তুলেছে-ছুড়েছে। স্বপন চক্রবর্তীকে গুলি করে প্রায় পনেরো মিটার দূরে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। আমি রাজনীতি করব আর বলব আমায় ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না ছিঃ…!’