সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন বাংলার মানুষ আর তাঁর মেয়েকে চাইছেন না। নির্বাচন কমিশন কেন উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিল, তা নিয়ে উত্তর দিতে গিয়ে দিলীর ঘোষ বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে লড়াই করবেন, আর লড়াই করলেই জিতবেন, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে হেরেছন, ভবানীপুরেও হারতে পারেন। "হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন", বলে কটাক্ষ করে তিনি প্রশ্ন করেন, "কে তাঁকে বলেছিল মুখ্যমন্ত্রী হতে?”
advertisement
আরও পড়ুন : বিজেপি-বামের চেয়ে অনেক 'এগিয়ে' থাকতে ভবানীপুরে বিশেষ কৌশল তৃণমূলের!
হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশে পুজো দিতে গিয়ে এর জবাব দেন মদন মিত্র। তিনি বলেন দিলীপ ঘোষ তো এটাও বলতে পারতেন, শহিদ মিনার থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব, কিন্তু তারা তা চাইবেন না। এরপরেই ছড়া কেটে বলেন, “আসলে ভবানীপুর থেকে কামারহাটি, সবার লক্ষ্য এবার দেশের মাটি। মমতার হাত ধরে সামনে হাঁটি, দিল্লি এবার হবে বাংলার ঘাঁটি।”
উপনির্বাচনকে (WB By-Election) সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য গান বেঁধেছেন মদন মিত্র। কিছুদিন আগেই সারেন রেকর্ডিং (Song Recording)। ‘ইন্ডিয়া ওয়ানা হার বেটিয়া’ নামের গানের একটি লাইন “ভবানীপুর টু কামারহাটি, দিদির হাত ধরে সামনে হাঁটি।” সেই সুরেই যেন এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে জবাব দেন কামারহাটির বিধায়ক।
সব জায়গাতেই মদন মিত্র রঙিন থাকতে পছন্দ করেন। সংবাদ মাধ্যমের অফিসে কোনও অপরিচিত সাংবাদিকের হাতে যদি লাল চাও দেখেন, তিনি জিজ্ঞাসা করেন সেটা কী। বিধানসভার অলিন্দে দিলীপ ঘোষকে দেখেও হাসিমুখে কথা বলেছেন কামারহাটি বিধায়ক। আবার টলিউডের অভিনেত্রীদের সঙ্গেও কখনও তাঁকে হাসিমুখে দেখা যায়। মাঝে মধ্যেই তিনি বসে যান ফেসবুক লাইভে। গাড়িতে যেতে যেতেও তিনি ফেসবুক লাইভ করেন। দলের বাইরেও তাঁর ফ্যান রয়েছে। সেই কালার ফুল মদন মিত্রকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে বায়োপিক। রাজা চন্দের পরিচালনায় তৈরি হওয়া বায়োপিকে মদন মিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করার কথা রয়েছে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের।