সেই বিষয় এখন জোর চর্চার বিষয় টালিগঞ্জের এম আর বঙ্গুর হাসপাতালে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন নন্দ কিশোর পোদ্দারের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: লটারিতে কোটি টাকা জিতেও চাপে অনুব্রত, সিবিআই দফতরে এলেন বোলপুরের লটারি ব্যবসায়ী
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ ই সেপ্টেম্বর ধুম জ্বর, শ্বাস কষ্ট, গায়ে ভীষন যন্ত্রণা এবং শারীরিক দুর্বলতার মত সমস্যা নিয়ে টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হন বছর ৬২ নন্দ কিশোর পোদ্দার। চিকিৎসকরা প্রথমে ডেঙ্গু আক্রান্ত বলেই আশঙ্কা করেন। কিন্তু শুধু সন্ধেহের বসে চিকিৎসা না করে, চিকিৎসকরা চিকিৎসার জন্যে রক্ত এবং লালা রস সংগ্রহ করেন ওই বৃদ্ধের শরীর থেকে। নমুনা সংগ্রহ করার পর রিপোর্ট দেখে রীতিমত চমকে ওঠেন চিকিৎসকেরা। দেখা যায় পেশায় দিন মজুর ওই বৃদ্ধের শরীরে একই সঙ্গে থাবা বসিয়েছে মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া। করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্যে সংগৃহীত লালা রসের নমুনাও পজেটিভ। অর্থাৎ ওই বৃদ্ধ একই সঙ্গে তিন মারণ রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা চিকিৎসা শুরু করেন দ্রুত।
advertisement
আরও পড়ুন বড় খবর! দুয়ারে সরকারের শিবিরে শুধু পরিষেবা নয়, জানানো যাবে অভিযোগও
চিকিৎসকদের কথায় নন্দ কিশোর পোদ্দার চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন প্রথম থেকেই। কিন্তু তাঁর শরীরে আগে থেকেই ছিল মধুমেয় এবং প্রেসারের সমস্যা। চিকিৎসার পাশাপাশি মনোবল জোগানো হচ্ছিল চিকিৎসকদের তরফে। এরপর একটানা চিকিৎসা চলার পর একদম সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই বৃদ্ধ। এরপর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। তিনি স্বাভবিক জীবনে ফিরেও গেছেন ইতিমধ্যেই। পরিবারের তরফে তাঁর ছেলে জানিয়েছেন একসঙ্গে তিন মারণ রোগ শুনে প্রথমে ভয় লাগলেও, চিকিৎসকেরা অভয় দেন। এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা খুব ভাল চিকিৎসা করেছেন। যে কারণেই তিনি আজ একদম সুস্থ। আপাতত বাড়ির দৈনিক কাজ কর্মও করছেন নিয়মিত। আর শারীরিক অসুবিধাও তেমন নেই বললেই চলে।