এদিন প্রথমে নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন ফালেরিও (Luizinho Faleiro in TMC)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফালেরিওর যোগদানের কথা নিজেই ট্যুইট করে জানান।
এরপর ক্ষুদিরাম অনুশীলন সমিতিতে যোগদান পর্ব সেরে (Luizinho Faleiro in TMC) ফালেরিও বলেন, আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্হে আজকেই দেখা করেছি। আমি জাতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম। আমি দুদিন আগেই পদত্যাগ করেছি। হ্যাঁ কংগ্রেস পরিবার থেকে পদত্যাগ করেছি, আসলে এসেছি বৃহত্তর কংগ্রেস পরিবারে, টিএমসিতে । আমার যোগদানের মূল লক্ষ্য বিজেপিকে হঠানো৷ সমস্ত ক্ষেত্রে ওরা সংস্কৃতি নষ্ট করেছে।
আরও পড়ুন-জল্পনা শেষ, মমতা-সাক্ষাতের পরই তৃণমূলে যোগ গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর! সঙ্গী অনেকে
গোয়ার বর্তমান অবস্থার কথা বর্ণনা করে ফালেরিও বলেন, অর্থনৈতিক ভাবে গোয়া পিছিয়ে গেছে। ৬৫% বাসিন্দা ওখানে নীচুতলার মানুষ। কারণ ওখানে কর্ম সংস্থান নেই। গোয়া অর্থনৈতিক ভাবে খুব খারাপ জায়গায় আছে। গোয়া এখন পিছিয়ে পড়ছে।
ফালেরিওর যোগদান তৃণমূলের সম্পূর্ণ অন্য মেরুতে তৃণমূলের সম্প্রসারণই নয়। রাজনৈতিক মহল জানে ফালেরিওকে উত্তর পূর্ব ভারতের গুরুদায়িত সপেছিল কংগ্রেস। স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিজ্ঞতা তৃণমূলের কংগ্রেসের কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফালেরিও নিজেও সেই প্রসঙ্গ তুলে আনলেন। বললেন, আমি উত্তর পূর্ব ভারতের ইনচার্জ ছিলাম। কর্ণাটক আমি লড়াই দিয়েছিলাম। আমি আজ যাত্রা শুরু করলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
মমতার প্রতি আনুগত্য তো বটেই অকৃত্রিম ভালোবাসা ঝড়তে দেখা গেল ফালেরিওর কথায় আপনারা সবাই দিদি বলেন, উনি আমার বোন। আমি বোনকে বলেছি গোয়ায় আসতে। আমাদের রক্ষা করতে। উনি একজন স্ট্রিট ফাইটার। আমাদের এমন লড়াকু, বিশ্বাসযোগ্য একজনকেই প্রয়োজন। দিদির অদম্য সাহস।
একই সঙ্গে জোটের সেতুবন্ধনেও যে তিনি ভূমিকা নিতে পারেন বুঝিয়ে দিলেন ফালেরিও। বললেন, সময় এসেছে সব কংগ্রেসকে একজায়গায় আনার। আর সেই মহাজোটের নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।