এরপর স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের শ্রমদফতরের উদ্যোগে পুজোর মধ্যেই শ্রমিকদের বোনাস এবং মজুরি দিয়ে দেওয়া হয়। নতুন মালিক এবং ইউনিয়নের সঙ্গে একাধিক মিটিং করার পরও কিছুতেই মিল খোলা যাচ্ছিল না। অবশেষে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক , আইএনটিটিউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নতুন মালিক এবং ইউনিয়নের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
advertisement
আরও পড়ুন: সূর্য-বুধের মহামিলন, বুধাদিত্য রাজযোগে সোনালী সময় ৪ রাশির! উপচে পড়বে টাকাপয়সা, সোনাদানা
নভেম্বরের প্রথম দুই দিনে শ্রম দফতরে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রম আইন ও বিচার বিভাগের মন্ত্রী মলয় ঘটক, পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক ও প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু, INTTUC- র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক এবং জুট শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা সোমনাথ শ্যাম, লাডলো জুট মিলের মালিকপক্ষ এবং মিলের ৮ টি ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব। শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত, স্পেশাল শ্রম কমিশনার, হাওড়া ও কলকাতার ডেপুটি শ্রম কমিশনার ।
এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আগামী কাল ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে মিলের মেইনটেনেন্স চালু হবে এবং ১১ নভেম্বর থেকে পুরোদমে কাজ হবে। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের লাডলো কোম্পানির এই লাডলো জুটমিল খুবই বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছিল বাংলায়।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দ্রুত গতির জেট প্লেনেও কি ব্রেক থাকে? ৯০% লোকজনই জানেন না
প্রায় ১০০ বছরের এই মিলটি ১২ লক্ষ বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে। ১৪০০টি পরিবার এই জুটমিলে কাজ করেন। তাঁরা এই ক্যাম্পাসেই থাকেন। ১৯২১ সালে তৈরি হওয়া এই জুটমিলটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলেছে। ১৯৭৭ সালে কানোরিয়া পরিবার এই জুটমিলটিকে অধিগ্রহণ করে। তারপর দশকের দশক ধরে দেশের পাটবাজারে এই জুটমিলের উৎপাদিত দ্রব্য সাদরে গৃহীত হয়েছে। কিন্তু এই শতবর্ষের ঐতিহ্যের অবসানে খুব বিষণ্ণ পাটশিল্পের দুনিয়া।
পুজোর বোনাস নিয়ে মিলের ভেতরে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। অভিযোগ, সেই সময়ে মিলের একাধিক অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। মিলের একাধিক আধিকারিকদের হেনস্থা করার অভিযোগও উঠে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। আর এর পরেই নিরাপত্তার অভাবের কারণ দেখিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ মিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।