চলছিল প্রেম। সম্পর্ক আরও গাঢ় হতে শুরু করে। তরুণীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিয়ে করবেন। সম্পর্ক আরও মধুর হতে থাকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই বেশ কয়েকবার শারীরিক মিলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন তরুণ। হঠাৎ মাস চারেক আগে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অভিযোগ এরপরই বেঁকে বসেন তরুণ প্রেমিক। লজ্জায় কাউকে প্রথমে কিছুই বলতে পারছিলেন না তরুণী। পরে অবশ্য বেনিয়াপুকুর থানার দ্বারস্থ হন তরুণী ও তার পরিবারের সদস্যরা। থানায় অভিযোগ করেন তরুণের বিরুদ্ধে।
advertisement
‘৭০ হাজার না দিলে গাড়ি ছাড়ব না!’ পুলিশের ঘুষকাণ্ডে ফাঁসলেন দুই অফিসার…বীরভূমে তোলপাড়!
ডাক্তারি ছেড়ে IAS অফিসার! এখন ৫১ কোটি টাকার ঘুষকাণ্ডে নাম জড়াল যে কারণে… স্ত্রীও আমলা!
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তরুণ ও নির্যাতিতা তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, সেই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে। কয়েক মাস আগে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
এরপর তরুণীর পরিবার বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তের পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং আদালতে পেশ করে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্ত বিয়েতে রাজি হন। উভয় পরিবারের মধ্যে আলোচনা হয় এবং অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে জানান যে উভয় পক্ষই বিয়েতে সম্মত। আদালত থেকে অনুমতি মেলে।
দু’জনকেই বসানো হয় এজলাসে। অভিযুক্তর আইনজীবী, মহম্মদ সাজিদ জানিয়েছেন, আদালতের তরফে বিয়েতে সম্মতি দেওয়া হয়। এরপর আদালত কক্ষের বাইরে বিয়ে অর্থাৎ নিকা হয় দুজনের।আদালত কক্ষের বাইরে কাজী মহম্মদ সামসের উপস্থিতি দুজনের বিয়ে হয়। আইনি ভাবে সই করে তরুণ-তরুণী বিয়ে করেন। বিয়ে সম্পন্ন হলে ফের আদালত কক্ষে যান নবদম্পতি। তরুণের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। শেষে নতুন বউকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তরুণ।
