পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তরুণ ও নির্যাতিতা তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, সেই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে। কয়েক মাস আগে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
‘৭০ হাজার না দিলে গাড়ি ছাড়ব না!’ পুলিশের ঘুষকাণ্ডে ফাঁসলেন দুই অফিসার…বীরভূমে তোলপাড়!
advertisement
ডাক্তারি ছেড়ে IAS অফিসার! এখন ৫১ কোটি টাকার ঘুষকাণ্ডে নাম জড়াল যে কারণে… স্ত্রীও আমলা!
এরপর তরুণীর পরিবার বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তের পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং আদালতে পেশ করে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্ত বিয়েতে রাজি হন। উভয় পরিবারের মধ্যে আলোচনা হয় এবং অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে জানান যে উভয় পক্ষই বিয়েতে সম্মত। আদালত থেকে অনুমতি মেলে।
এরপর মঙ্গলবার কনের সাজে আদালতে পৌঁছন নির্যাতিতা। অভিযুক্তকে আনা হয় পুলিশি পাহারায়। আদালত চত্বরে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে কাজি মহম্মদ সামসের মাধ্যমে ধর্মীয় নিয়মে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরে নবদম্পতি আদালতে হাজির হন এবং বিয়ের নথিতে সই করেন। আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়ে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। নবদম্পতি আদালত চত্বর ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।