‘নড়বড়ে’ সংগঠন সামলাতে বঙ্গ বিজেপির ‘ভরসা’ কি তবে সঙ্ঘ পরিবার? ভোটে বঙ্গে আরএসএস-এর নয়া কৌশল৷ বিজেপির অন্দরমহল সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে জেতাতে এবারে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল আরএসএস৷
বিশেষ সূত্রের খবর, সেই কৌশলই এবার বঙ্গে লোকসভা ভোটে প্রয়োগ করতে উঠে পড়ে লেগেছে সঙ্ঘ পরিবার৷ RSS সূত্রের এ-ও খবর, গত ১০ বছরে এ রাজ্যে তাঁদের সংগঠন বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় ঘনঘন সঙ্ঘের কর্মশালা হচ্ছে। একাধিক সময়ে মোহন ভগবতও উপস্থিত থাকেন সেখানে। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের এই বিরাট সমন্তরাল বাহিনীকে এবার লোকসভা ভোটের কাজে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরএসএস।
advertisement
সূত্রের খবর, নিঃশব্দে, নীরবে এই কাজ করবে সঙ্ঘ পরিবার। একটা রোড ম্যাপও তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রাথমিক ভাবে সঙ্ঘ পরিবারের জনমত যাচাই করবেন সদস্যরা। এঁরাই দেখবেন বঙ্গের কোন বুথে বিজেপির কী অবস্থা, তার পর সে বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা৷ সেই মতো স্বয়ংসেবক নিয়োগ হবে। বুথ এবং এলাকা ধরে ধরে করা হবে এই কাজ। এঁরা বুথ বা এলাকার সব খবর দেবেন নিদিষ্ট দায়িত্বপূর্ণ নেতাকে। এলাকায় বিজেপি কোথায় কী প্রচার করছে, লোক কেমন হচ্ছে, তা নিয়ে প্রতিদিনের রিপোর্ট দিতে হবে।
মোদি সরকারে সাফল্য, বিশেষ করে, রাম মন্দির, সিএএ, ইউনিয়ন সিভিল কোড, এবং কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো বিভিন্ন বিষয়গুলি আরএসএস-এর প্রচারে উঠে আসবে বলে সূত্রের খবর। সঙ্ঘ পরিবার সূত্রের খবর, ছোট ছোট সভা করে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশেনের ব্যবস্থা করা হবে। মোদি এই ১০ বছরে কী করেছেন, তা সধারণ ভোটারদের জানানো হবে সঙ্ঘের তরফে। এরপর সব দিক দেখে শুনে সঙ্ঘই রাজ্য বিজেপি-কে পরামর্শ দেবে, কোথায় কী করা উচিত। নোটার ভোট কমানোর বিষয়ে উদ্যোগী হতেও বঙ্গের সঙ্ঘের বঙ্গকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন নেতৃত্ব।
শুধু আরএসএস নয়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ সব সংগঠনকে তাদের কার্যক্ষেত্রে সভা করতে বলা হয়েছে। এই সভায় মোহন ভাগবতের ভাষণ প্রচার হবে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী সহ বড় নেতারা সভা করতে বাংলায় এলে তাতে বিপুল জমায়েত করতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট তাড়াতাড়ি দিতে বলতে হবে। ভোটের দিন তিনটের পরে যাঁরা ভোট দেননি, সেই পরিচিতদের বাড়ি যেতে হবে। তারপরে তাঁদে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
এভাবেই এবার আরএসএস নীরবে কাজ করেছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে সাফল্য পেয়েছেন। এবার সেই পথে বাংলাও? সেই সাফল্যের পর এই রাজ্যেও একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। চব্বিশের ভোটের আগে এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিল সঙ্ঘ পরিবার। পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বও জেলায় জেলায় কারা কারা সঙ্ঘ পরিবারের সদস্য তেই তালিকা তৈরি করে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে বলে পদ্ম শিবির সূত্রে জানা গেছে।