অন্যদিকে, আচমকাই মেধাতালিকায় ৩০ নম্বরে থাকা লিপিকা মণ্ডলের নাম চলে যায় ৩১ নম্বরে। আজও চাকরি পাননি তিনি। লিপিকা মামলা দায়ের করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে। প্রবীন মণ্ডলের মেধাতালিকায় নাম না থেকেও চাকরির কারণ দর্শাতে এসএসসি-কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ।
আরও পড়ুন; কবের মধ্যে চাকরি প্রিয়ঙ্কা সাউ-এর? এবার এসএসসি-কে দিন বেঁধে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
advertisement
২৭/১১/২০১৭ একাদশ -দ্বাদশ শ্রেনির শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ হয়। ইতিহাসে এসসি ক্যাটাগরির অপেক্ষমান তালিকায় (waiting list) ৩০ নম্বরে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের লিপিকা মণ্ডল। হঠাৎ করেই সেই মেধাতালিকায় ২ নম্বরে নাম ভেসে ওঠে প্রবীন মণ্ডলের। আর সেই সময় মেধাতালিকায় ৩০ থেকে ৩১ নম্বরে পৌঁছে যান লিপিকা।
আরও পড়ুন; 'বিজেপির 'ট্রেনি সভাপতি' কি ভুলে গেলেন...?' সুকান্তকে অতীত স্মরণ করালেন কুণাল ঘোষ
হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি প্রবীন মণ্ডলের নাম। হাইকোর্টে বেআইনি ভাবে মেধাতালিকায় না থাকা প্রবীণ মন্ডলকে নিয়োগের অভিযোগ আনেন লিপিকা মণ্ডল। লিপিকা মণ্ডলের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, ''ববিতা সরকারের মতই বঞ্চনার শিকার লিপিকা মণ্ডল। মেধাতালিকায় নাম থেকেও চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছি। এসএসসি রিপোর্ট দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।''
রাজ্যজুড়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির জট ছাড়াতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই যে রিপোর্ট জমা করেছে, তার তথ্য দেখে চমকে উঠছেন খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। স্কুলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে ৮১৬৩ জন চাকরি পেয়েছেন কার্যত সাদা খাতা জমা দিয়ে। ওএমআর শিট জালিয়াতি করেই সরকারি চাকরি পেয়েছেন এঁরা।
সিবিআইয়ের দাবি, কেউ দিয়েছেন দু-একটি উত্তর, কেউ আবার সাদা খাতা জমা করেছেন। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-- শিক্ষাঙ্গনের সব চাকরির ক্ষেত্রেই এই দুর্নীতি হয়েছে। বেআইনি ভাবে টাকা দিয়ে এই চাকরি পেয়েছেন আট হাজারের বেশি। এদিন কারা সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।