সোমবার যখন দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মমতা, তার আগে রবিবার বিমান বসু বলেন, 'সর্বভারতীয় স্তরে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, কোহিমা পর্যন্ত বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে যে কারও সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা।' তৃণমূলের নাম আলাদা করে মুখে না আনলেও তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, সেই আন্দোলনে তৃণমূল থাকলেও কি আপনারা যোগ দেবেন তাতে? বিমানের উত্তর, 'বিজেপি বিরোধী যে থাকবে, তাঁদের সকলের সঙ্গেই বামেরা কাজ করতে প্রস্তুত।' রাজনৈতিক মহলের মতে, এতদিন সন্দিহান থাকলেও ২০২৪-এ তৃণমূল, সিপিএম হাত ধরাধরি করে চললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
advertisement
তবে, সর্বভারতীয় স্তরে যে কংগ্রেসকে বাদ রেখে সোচ্চার বিজেপি বিরোধিতা সম্ভব নয়, তা বুঝেছেন বাকি বিরোধীরা। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী, সূত্রের খবর এমনটাই। আর কংগ্রেসও যে ক্রমেই তৃণমূলে নরম হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে রবিবার কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি প্রকাশ ও পেগাসাস ইস্যুতে তাঁর পাশে দাঁড়ানো থেকেই।
অর্থাৎ, এখন থেকেই ২৪-এর সলতে পাকাতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একদিকে যেমন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বুঝিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল আর তাঁদের কাছে অচ্ছুৎ নয়, ঠিক তখনই তৃণমূলের প্রতি কংগ্রেসের নরম মনোভাবকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়,'পেগাসাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলকে সঙ্গী করে কংগ্রেস এগানোর সিদ্ধান্ত নিলে বুঝতে হবে তারা ভবিষ্যতের করব খুঁড়ছে। কারণ পেগাসাসের সাহায্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ফোনে আড়ি পাতার কাজটা সাফল্যের সঙ্গে এ রাজ্যে করছে তৃণমূল।'