সূত্রের খবর, সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের কলকাতা জেলা কমিটি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দাবি করেছে এই বিষয়ে বামফ্রন্টে আলোচনার জন্য। আলোচনার পরিণতিতে বাম শিবিরের দুই প্রার্থীকে লড়তে দেখা যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অথবা শেষমেশ যে কোনও এক পক্ষকে পিছু হটতে হবে।
আরও পড়ুন-ফের আইসিস হামলা কাবুলে! অক্ষরে অক্ষরে মিলল মার্কিন প্রশাসনের অনুমান
advertisement
যদিও উপনির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়া হবে না বলে সংবাদ মাধ্যমে আগে জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। জোটের ঝুলি শূন্য হওয়ার পর রাজনৈতিক মহল এই ঘটনাকে বিলম্বিত বোধদয় বলছিল। কংগ্রেসের অন্দরেও আলোচনা হতে থাকে, এই সৌজন্য আগে দেখালে ভোটে এভাবে ধরাশায়ী হতে হত না। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সকলেরই জানা, অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করেছেন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে।
যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে বামেদের এই সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি দলের তরফে। তবে কংগ্রেস না লড়লে ভবানিপুরে প্রার্থী দেবে সিপিএম-এমনটা স্পষ্ট করেছেন বহু নেতাই। তার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। এরই মধ্যে নতুন করে আকাশে সিঁদুরে মেঘ।
ফরওয়ার্ড ব্লকের দাবি, ওই আসনে আগে সিপিএম ও পরে কংগ্রেস লড়াই করে ব্যার্থ হয়েছে তাই এবার তাঁদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এই আসনটি নিয়ে দুপক্ষের টানাপোড়েনে জট সৃষ্টি হয়েছে ফ্রন্টে। কংগ্রেসকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে ফ্রন্টের তরফে। পর্যপবেক্ষকদের মত এই সমস্যা সমাধান না করতে পারলে আখেরে ক্ষতির মুখে পড়বেন বামেরাই। কারণ একই ভোটব্যাঙ্কে এক শিবিরের দুই পৃথক গোষ্ঠী ভাগ বসালে আদপে লাভ শাসক বিরোধীর।