#কলকাতা: নাগরিকত্ব বিল বিরোধীতার মঞ্চে ৮ জানুয়ারি শিল্প ধর্মঘটের প্রচার চালচ্ছে বামেরা। ২ মাস আগে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য। কিন্তু তার মধ্যেই এসে পড়ে NRC এবং CAA ইস্যু। তাই একই সঙ্গে একই মঞ্চে দুটোরই প্রচার সেরে নিচ্ছেন বাম নেতারা।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তাল সারা দেশ। একইসঙ্গে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গও। বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপি সব দলই। কিন্তু বাকি দলগুলো থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। শহরজুড়ে তিনদিন তিনটি বড় বড় মিছিল করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রানী রাসমণি রোডে সভা করেছেন। পার্ক সার্কাস ময়দান এ শুক্রবার আরেকটি সভা করার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। একই সঙ্গে কোন বড় কর্মসূচি না করলেও বিজেপির প্রায় প্রত্যেক রাজ্য স্তরের নেতারা কোনও না কোনও কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকেছেন। কিন্তু এনআরসি বিরোধিতায় কিছুটা হলেও দেরিতে কলকাতার পথে নামল বামেরা। যদিও বিমান বসু সূর্যকান্ত মিশ্রের ইতিমধ্যেই জেলা শহরগুলোতে কয়েকটি কর্মসূচি করেছেন নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায়। কিন্তু রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র কলকাতায় বৃহস্পতিবার প্রথম পথে নামল ১৭ টি বামপন্থী দল। রামলীলা ময়দান থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল করলেন নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে।
advertisement
মিছিল শেষে পার্ক সার্কাসে ছোট সমাবেশ করা হয়। সেই মঞ্চেই এনআরসির বিরোধিতার পাশাপাশি বিমান বসু থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র সকলেই ৮ই জানুয়ারি শিল্প ধর্মঘটকে সফল করার ডাক দেন। বি এম এস এবং আই এন টি টি ইউ সি বাদে সমস্ত কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন গুলি এক সঙ্গে ৮ই জানুয়ারি যে ধর্মঘট ডাক দিয়েছে তাকে সমর্থন করার জন্য অনেক আগে থেকেই প্রচার চালাচ্ছিল বামেরা। তার মাঝেই এসে পড়ে নাগরিকত্ব ইস্যু। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই দিন শিল্প ধর্মঘটের প্রচার করলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম সহ ১৭টি বামপন্থী দলের সব নেতাই। যে কলেবরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রাজপথে মিছিল করেছেন পরপর তিনদিন তার ধারে কাছেও পৌঁছালো না বামেদের বৃহস্পতিবার এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। যদিও এই মিছিলে কলকাতার পাশাপাশি নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া এবং হুগলি জেলা অংশগ্রহণ করেছিল। এই সুযোগেকে কাজে লাগিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন বামেরা।