সকাল সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতার মরদেহ হাসপাতাল থেকে বার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে আইনজীবীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর সোয়া একটা নাগাদ হাইকোর্ট থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বিধানসভা ভবনে। সেখানে সিপিআইএম সহ বিভিন্ন দলের নেতা ও নেত্রীরা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন ৷ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে শেষ বিদায় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে প্রয়াত নেতাকে ৷ একঘণ্টারও বেশি কিছু সময় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ রাখা হবে বিধানসভা ভবনে ৷
advertisement
আরও দেখুন
ভারতীয় রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র পতন, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর
প্রয়াত নেতার পরিবার সূত্রে খবর, বিধানসভা থেকে বার করে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজা বসন্ত রায় রোডে, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবনে ৷ সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সেখানেই রাখা থাকবে প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদের মরদেহ ৷ সেখানে সাধারণ মানুষেরা প্রয়াত রাজনীতিবিদকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন ৷ সন্ধে ৬টার পর সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর দেহ দান করা হবে এসএসকেএম হাসপাতালে।
আরও দেখুন
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়: CPI(M) নন, শেষদিন পর্যন্ত ‘বামপন্থী’
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুরু হয় ডায়ালিসিস। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। রবিবার ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ফুসফুস ও কিডনির অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। পেসমেকার বসিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার সকালে আর ডায়ালিসিস করা যায়নি। ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপরই সব শেষ।
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে শোক জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।