মঙ্গলবার আলিপুর আদালত থেকে অনুমতি পেয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: তখন প্রবল ঝড়, বাড়ির ছাদ থেকে ধুপ করে শব্দ! বর্ধমানের ঘটনা শুনলে আঁতকে উঠবেন
advertisement
অভিষেকের মন্তব্যের পরের দিনই আদালতে পেশ করার সময় সংবাদ মাধ্যমে কুন্তল দাবি করেন, হেফাজতে থাকার সময় বলপূর্বক অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়েছে। তারপর, ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান হেস্টিংস থানাতেও। এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি প্রসঙ্গ আদালতে জানায় ইডি।
আরও পড়ুন: এই অর্পিতাকেও চিনে রাখুন, মাধ্যমিকে যা কাণ্ড ঘটাল মেয়েটি, অবাক হয়ে যাবেন
আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি কুন্তল ও অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। ইতিমধ্যে অভিষেকের বয়ান রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সংশোধনাগারে গিয়ে কুন্তল ঘোষের বয়ান রেকর্ড করা হবে। অন্যদিকে গ্রুপ সি নিয়োগ মামলাতে সংশোধানাগারে গিয়ে নাইসার আধিকারিক নীলাদ্রি দাসকে জেরা করবে সিবিআই। আদালত থেকে মিলেছে সেই অনুমতি। বুধবার সংশোধানাগারে গিয়ে তারও বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় সপ্তাহ খানেক আগে নাইসার এক আধিকারিকের গোপন জবান বন্দি হয়েছে, উঠে এসেছে তথ্য। সেই তথ্য খতিয়ে দেখতে জেলে গিয়ে এবার নীলাদ্রিকে জেরা করবে সিবিআই। ইতিমধ্যে গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দিনে নাইসার বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই।