বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, ''মডেল বলে ব্যখ্যা করতে গিয়ে নানা জটিলতা হচ্ছে। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি সমান ভাবেই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মতো লড়াই শুরু করেছেন। কেউ বনাম কেউ এটা নয়। তিনি সাংসদ হিসাবে তাঁর এলাকায় যা করেছেন, তার প্রশংসা পেয়েছেন। সবাই নানা ভাবে চেষ্টা করছেন। বনাম শব্দ বাদ দিয়ে আলোচনা হোক।''
advertisement
রাজ্যে পুরভোটের আবহে দু'মাস সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা উচিৎ বলে 'ব্যক্তিগত মতামত' জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। এ বিষয়েও এদিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কুণাল ঘোষকে। তিনি বলেন, ''দলের সাধারণ সম্পাদক অবশ্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ব্যক্তিগত মতের ব্যাপার থাকে। প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ভালোই বলেছেন।
রাজ্য সরকারের কাজে প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতা আছে। ভোট কোভিড বিধি মেনেই কমিশন স্থির করেছে। এর পরেও যদি কেউ বা কোনও দল না মানলে সেটা তাদের ব্যাপার।''
আরও পড়ুন: NM আর AS, নতুন দুই নিশানা বাবুল সুপ্রিয়র! 'বিশ্বের বৃহত্তম দল'কেও কটাক্ষ
কিন্তু অভিষেকের ব্যক্তিগত মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বক্ষণের। তাই এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে বলে মনে হয় না। অনেক বিষয়ে তো আমারও ব্যক্তিগত মত আছে। দলীয় শৃঙ্খলার কারণেই তা প্রকাশ্যে বলা যায় না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচারণ।'' আর সেই নিয়ে আলোড়ন পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: ৩ মন্ত্রী-সহ ৯ বিধায়কের ইস্তফা, হাওয়া বুঝেই অযোধ্যায় প্রার্থী যোগী আদিত্যনাথ?
এরপরই কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে সাফ বলেন, ''আমাদের দলের মুখ মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে মুখ ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ফলে দলের যারা সৈনিক, তাদের ভেবে কথা বলা উচিত। সাংসদের বক্তব্যের বিষয়টিকে দল লক্ষ্য রাখছে। অভিষেকের বক্তব্য ব্যক্তিগত কথা ও মানুষের মনের কথাও ছিল। সংঘাত মূলক পরিবেশ, এটা ভাবার দরকার নেই। যে যার মতো নিজের ইচ্ছে মতো কথা বলবেন এটা হয় না। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ চচট্টোপাধ্যায় নজর রাখছেন। দল যদি কোনও নির্দিষ্ট কারণে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত।''