লকেটের এই বক্তব্যকে পালটা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংসদ হিসাবে বিধানসভায় দাঁড়ালেন। তারপর হারলেন। বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখে বললেন সুস্থ ভোট। এখন পঞ্চায়েত আসলেই অসুস্থ ভোট কেন? সাংসদ হিসাবে কত বড় ব্যর্থ, নিজের এলাকায় সব বিধানসভায় হেরেছেন। আবার হারবেন। আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। এখানে তো বাংলার মানুষের কাছে ভোট চাইতেই তিনি যান না। বিধানসভা ভোটের পরে তো তিনি ব্যস্ত ছিলেন অন্য রাজ্যের ভোট প্রচারে।’’
advertisement
আরও পড়ুন- ভাল ক্রিকেটীয় শট খেলতে পারলেই অস্ট্রেলিয়ায় সাফল্য পাওয়া যায়: কোহলি
এখানেই শেষ নয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন লকেট। তাঁর দাবি, “পুলিশ এবং তৃণমূলের নেতারা এক হয়ে গিয়েছে। থানাগুলো পর্যন্ত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই একথা বলা হচ্ছে।” কুণালের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দেশে আলাদা নিয়ম হতে পারে না। যারা বলছেন পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করতে চাই। তাহলে ত্রিপুরায় কেন করলেন না? গোটা দেশের সব রাজ্য জুড়ে যা নিয়ম। তার ব্যতিক্রম হয় না। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলেও হারে। নিশ্চিত হার জেনে এই সব বলে চলেছে ৷ নির্বাচন কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তাই মেনে নেব।’’