তৃণমূলের অভিযোগ, উত্তরের বিজেপি সাংসদরা এই বিষয়ে দিল্লিতেও সরব হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, যখনই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তখনই রাজ্য জুড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিয়ে অশান্তি পাকানো হয় ৷ প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৩ সালে দেখা যায় পাহাড়ে অশান্তি তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে সেই আন্দোলন। পৃথক গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবিতে চলতে থাকে সেই আন্দোলন। রাজ্য সরকার সেই আন্দোলন নিয়ন্ত্রিত করলেও ফের শুরু হয় সমস্যা। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৭ সালে ফের শুরু হয় আন্দোলন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে। যার প্রভাবে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি এখনও বিপর্যস্ত।
advertisement
শাসক দলের নেতাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার কখনও অবহেলা করেনি উত্তরবঙ্গকে। উত্তরবঙ্গের আট জেলায় একাধিক উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। এই সব বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছে জোড়া ফুল শিবির ৷ কোচবিহারের তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, বিজেপির আইটি সেল নানা ভাবে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। রাজ্য নেতাদের সঙ্গে উত্তরের নেতাদের কথার মিল পাচ্ছি না। কেএলও নেতা জীবন সিং সেই আলাদা রাজ্যের কথা বলে ভিডিও পোস্ট করছেন। একইসঙ্গে তার অভিযোগ, যারা ভাগ করতে চাইছেন, তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করছেন। তাই জীবন সিংহ অস্ত্র আস্ফালন করেছেন।
আরও পড়ুন- টেনে হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের তুলল পুলিশ! করুণাময়ীতে মধ্যরাতে 'অপারেশন'
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা উত্তরবঙ্গ নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সম্মতি না জানালেও পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে তাঁরা যে এখনও অনড়, ২৮ অগাস্ট কোচবিহারের ‘ভারতভুক্তি’ দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি দুই বিধায়ক, সুকুমার রায় এবং মালতি রাভা রায়। ঠিক কী বলেছিলেন তাঁরা? বিধায়ক তথা বিজেপির কোচবিহারের সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “উত্তরবঙ্গের জন্যে যে দাবি উঠছে যে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য করতে হবে, সেই দাবিকেও আমরা সমর্থন করি।’’
তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায় বলেন, “কিছু নেতা এসে বলে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গকে ভাগ করা যাবে না। আমি বলছি উত্তরবঙ্গের মানুষ ঠিক করবে, আলাদা হবে কি না।’’ গত ১২ জুলাই, ধূপগুড়িতে দাঁড়িয়ে পৃথক উত্তরবঙ্গের বিরুদ্ধে এভাবেই নাম না করে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ বলে কিছু নেই। আলাদা করে যদি ভাবে, চক্রান্ত করে বাংলা ভাগ করব, তবে বলছি, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আটকাবো। বাপের বেটা হও, দেখাও বাংলা ভাগ করে দেখাও।’’