এদিন সকালেই দিলীপ ঘোষ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যেখানেই আটকাবে সেখানেই বসে পড়বেন ৷ যা নিয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘দিলীপ ঘোষের উচিৎ শুভেন্দুকে শো-কজ করা। দিলীপ দা বাধা পেলেই বসতে বলেছিলেন৷ আর শুভেন্দু না বসে, হেঁটে হেঁটে প্রিজন ভ্যানে চলে গেল।’’
আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযানের শুরুতেই আটক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
advertisement
কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, ‘‘বিজেপির কোনও জনভিত্তি নেই। আর শুভেন্দুর কথা যত কম বলা যায়, ততই ভাল। যতগুলো ক্যামেরা ছিল, তত মিনিট পুলিশের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। একটা আলুভাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ওর শেখা উচিৎ বিরোধী আন্দোলন কাকে বলে। মমতাদি যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, মারতে মারতে রাইটার্স থেকে বের করেছিল সিপিআইএমের পুলিশ। সিঙ্গুর বিডিও অফিস থেকে চুলের মুঠি ধরে বের করছিল।’’
বিরোধী দননেতাকে খোঁচা মেরে কুণাল বলেন, ‘‘মহিলা পুলিশকে বলছে, ডোন্ট টাচ মাই বডি। যেন লজ্জাবতী লতা। বিরোধী দলনেতা নয়, শুভেন্দু একজন অপদার্থ। অন্যদিকে, যাত্রাপালার নায়ক রাহুল সিনহা। আর লকেট চট্টোপাধ্যায় তো মনেপ্রাণে চাইছিলেন ফ্লপ হোক নবান্ন অভিযান। কোনও ইস্যু নেই। উন্নয়ন নিয়ে কথা নেই। শুভেন্দু একটা বাতেলাবাজ। নার্ভ কাজ করলো না। হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল পুলিশের গাড়িতে। পুলিশও তুলে নিয়ে যায় নি। এর ভরসায় বিজেপি কর্মীরা লড়ছেন? ভীতু, কাপুরুষ, মেরুদন্ডহীন। ছোটবেলায় বাবার দয়ায়, তারপর দিদির দয়ায় ঠান্ডা ঘরে বসে নেতা হয়েছে। ভীতু, কাপুরুষ। গরুর গাড়ির হেডলাইট। শুভেন্দু বিনাবাধায় আত্মসমর্পণ করেছে। বুকে নেই দম, শুভেন্দু খাবে চম চম। ওর পিছনে ৩০টি লোক ছিল না। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন বসে পড়বে। শুভেন্দু বসল কোথায়? নিজেকে সেভ করে নিল কর্মীদের এগিয়ে দিয়ে।’’
আরও পড়ুন- বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন রাস্তায় বাসের দেখা নেই, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
এরপরই কুণাল বলেন, ‘‘বিজেপি বিপুল টাকা লাগিয়ে ছিল নবান্ন অভিযানে। এগুলি সিবিআই-ইডি তদন্ত করে না। ১১ কোটির আন্দোলনে ১১ মিনিট টিকলো না। আসল পরীক্ষায় দেখা গেল দম নেই। সিনেমা তো ট্রেলারেই শেষ! ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এমন সুপার ফ্লপ অভিযান বিরোধী দলের হয়নি, যেখানে আলুভাতে বিরোধী দলনেতা হাঁটতে হাঁটতে বিনা বাধায় পুলিশের গাড়িতে উঠে গিয়েছে। শুভেন্দু বুঝে গিয়েছে লোক নেই। তাই হাল ছেড়ে দিয়েছে।’’