সোমবার যখন কলকাতায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি, সেই সময় দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই রাজধানীতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি৷ সেই সময় শুভেন্দুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং সৌমিত্র খাঁ-ও।
advertisement
ওই সাংবাদিক বৈঠকেই শুভেন্দু দাবি করেন, রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়নি রাজ্য। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মূর্মূর পক্ষে ভোট দেয়নি তৃণমূল। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা।
শুভেন্দুর অভিযোগ অবশ্য সরাসরি খারিজ করে দেয় শাসকদল৷ শুধু তাই নয়, আমন্ত্রণ যে জানানো হয়েছিল তা প্রমাণের সপক্ষে নথিও প্রকাশ করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ যদিও সেই নথিকেও ভুয়ো বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু৷ এ নিয়ে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে৷
অন্যদিকে, বিজেপির এই অবস্থানকে 'সস্তা রাজনীতি' হিসাবে অভিহিত করছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এপ্রসঙ্গে বলেন, "বিজেপি রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে সস্তা পলিটিক্স করছে। এত নীচে নেমেছে যে রাষ্ট্রপতিকে নিয়েও মিথ্যা কথা বলছে। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। হাস্যকর যুক্তি দিয়েছেন তাঁরা। ওঁর ভোটের সময় ব্যক্তিগত ভোট নয়, দলীয় ভোট ছিল। আর ওদের লজিক মানতে গেলে, রাজ্য সরকারের কোনও অনুষ্ঠানে আসার কথা নয়। গণতন্ত্রে এসব চলে না। এটা অর্বাচীনরা বোঝেন না।"
অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, " যদিও একটা রাজনৈতিক দল বিজেপি, এটা নিয়েও অপপ্রচার করছেন। এখান থেকে নয়, দিল্লি থেকে তাঁরা করছেন। দিল্লিতে গিয়ে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও সৌমিত্র খাঁ নিমন্ত্রণ করা হয়নি বলে মিথ্যা কথা বলছেন। প্রশাসনের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেউ বলছেন আমন্ত্রণ পায়নি, কেউ বলছেন যাব না।আসলে এটা হল সস্তার রাজনীতি।"
রাজ্যের আদিবাসী মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কটাক্ষ, "ভোট আসলে গলায় গামছা ঝুলিয়ে আদিবাসী প্রেম দেখায়৷ যদিও আজ সম্মান দিলেন না।"