তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ‘মা, মাটি, মানুষ’-এর স্লোগান তোলেন। কিন্তু আজ বাংলার বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। রাজ্যে নারীরা নিরাপত্তাহীন, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়, আর মুখ্যমন্ত্রী ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করছেন।” বাঁশুরী স্বরাজ আরও যোগ করেন, “দুর্গাপুরে চিকিৎসা ছাত্রী গণধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, রাতে বাইরে যাওয়া উচিত নয়। এটা কি নারী সুরক্ষার নীতি, নাকি অপরাধীদের রক্ষা করার কৌশল?”
advertisement
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন বাঁশুরী- “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি কি জানেন আপনার এই মন্তব্য নারীদের মর্যাদাকে কতটা আঘাত করছে? আজ বাংলার নারীরা আতঙ্কে, কারণ রাজ্যের শাসকদল অপরাধীদের আড়াল দিচ্ছে।” বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমি মমতা সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি- ধর্ষণকে ন্যায্যতা দেওয়া বন্ধ করুন। ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। নারী সুরক্ষায় রাজ্যের সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ, এবং প্রশাসনের উপর জনগণের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: সুইডেনে গেলে ‘কত’ হয়ে যায় ভারতের ‘১০,০০০ টাকা’…? শুনলেই চমকাবেন হিসেবে!
রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব বারংবার প্রকাশ্যে জনসভায় কিংবা সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের ক্ষেত্রে দুর্নীতি-সহ রাজ্য সরকার বিরোধী একাধিক ইসুগুলির পাশাপাশি নারী নিরাপত্তা ও তাদের অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে। সেই কথাকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আন্দোলন।
আরও পড়ুন: টানা পাঁচ-পাঁচদিন ছুটি…! অক্টোবরে কবে থেকে কবে বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ? জানুন ছুটির তালিকা
শুধুমাত্র এ রাজ্যের নেতৃত্ব অর্থাৎ শমীক ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার নয়, দিল্লির নেতৃত্বের গলায়ও বারংবার উঠে এসেছে এরাজ্যের নারী নিরাপত্তা হীনতা এবং বারংবার ধর্ষণের অভিযোগ। সেই ইসুগুলিকে নিয়েই বিজেপি জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে এ রাজ্যের সাধারণ মানুষকে একত্রিত করতে চাইছে তা বলাই বাহুল্য। শুধু তাই নয় রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকার প্রতিষ্ঠা হলে নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে সরকার নারীদের সম্মান রক্ষার্থে প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে এমনটাও আশ্বাস বারংবার উঠে আসছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের গলায়। সুতরাং এ বিষয়ে স্পষ্ট বিজেপি আগামী দিনে নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে নারী নিরাপত্তা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণের অভিযোগগুলিকেও প্রথম সারিতে রাখবে।।