অসুস্থ হয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ এর পর একে একে তাঁকে দেখতে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ বিভিন্ন দলের নেতারা৷ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ সিপিএম নেতারাও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান৷
advertisement
আরও পড়ুন: ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে, বুদ্ধদেবের সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট ইতিবাচক
বুদ্ধবাবুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতারাো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে সৎ রাজনীতিবিদ বলে উল্লেখ করেন৷ মূলত এই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, তিনি অসুস্থ, তাঁর দ্রুত আরোগ্য আমি কামনা করি৷ কিন্তু আরোগ্য কামনা করতে গিয়ে যাঁরা আদি বুদ্ধবাবুকে মহাপুুরুষ সাজাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে আমি একমত নই৷ কারণ বুদ্ধবাবুর জমানায় সিপিএম অনেক খারাপ কাজ করেছে৷ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঔদ্ধত্যে এবং ভুল সিদ্ধান্তে বহু ক্ষতি হয়েছে৷
কুণাল অবশ্য একই সঙ্গে দাবি করেছেন, হাসপাতালে না গেলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত খবর প্রতি মুহূর্তে রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
তবে কুণালের এই মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোধীরা৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কুণাল ঘোষের শিক্ষা, রুচি নিয়েআমি কিছু বলব না, সেটা ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়ে যাবে৷ ওনার যা শিক্ষা, রুচি তার পরিচয় দিয়েছেন৷ বুদ্ধবাবুর নীতি, রাজনীিতর সঙ্গে আমাদের আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে৷ কিন্তু উনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বহুদিন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কাজ করেছেন৷ সবথেকে বড় কথা, ওনার দিকে তো কেউ আঙুল তুলে কেউ চোর বলতে পারবে না৷’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘যদি পিপিলিকা মনে করে সে পাখি, তাহলে তার ব্যাপার৷ কোন গুণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দলের নেতা বানিয়েছেন সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করুন৷ কিন্তু কিছু অসভ্য লোক নিয়েই যে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি, আবার প্রমাণিত হল৷’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও কুণাল ঘোষকে কড়া আক্রমণ করে বলেন, ‘এখনই এই ধরনের মুখপাত্রকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত৷’