শুভেন্দুকে তোপ দেগে কুণাল বলেন, "সিবিআই-এর যোগ্যতা নষ্ট করে দিচ্ছে এই শুভেন্দু অধিকারী। আসলে তাঁরা সিবিআইকে ব্যবহার করছেন। যদি বাড়ি যাওয়ার তারিখ বলা যায়, তাহলে তো মেরে দেওয়ার তারিখও বলা যায়। আমরা শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতার চাই।"
কুণাল বলেন, "আসানসোল পুলিশ কমিশনার বলেছেন, অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এর পর দেখা গেল, চৈতালি তিওয়ারি চিঠি দিয়েছেন থানাকে, সেটা দেখানো হচ্ছে। সেখানে লেখা আছে কনটেন্ট নট ভেরিফায়েড। দুটোর ফারাক আছে। পুলিশ ওনাদের কাছে এস্টিমেট চেয়েছিল। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কোনও যোগাযোগ তাঁরা করেননি। পুলিশ ছিল কারণ শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তা প্রাপ্ত ব্যক্তি। এর সঙ্গে অনুষ্ঠানের সম্পর্ক নেই।"
advertisement
কুণাল আরও বলেন, "এখন নিজেকে বাঁচাতে পুলিশের প্রশংসা করছেন। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পুলিশের ওপর ভরসা করে এমন অনুষ্ঠান করা যায় না। আসলে ওনারা ছবি তুলে চলে যেতে চেয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী আইনশৃঙ্খলা পৈতৃক সম্পত্তি ভেবেছেন। পুলিশ মানছেন না।"
আরও পড়ুন, বিজেপির সভায় পদপিষ্টের ঘটনা, দিলীপ বললেন, 'আরও প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল'
তিনি আরও বলেন, "বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সব এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আইন আইনের পথে চলবে। আমরা রাজনৈতিক ভাবে বলছি, আগামী দিন কী হবে, না জেনে আগাম স্থগিতাদেশ কীভাবে দিয়ে দিচ্ছেন? এটা কোনও আইন? ধারাবাহিক ভাবে পুলিশ অফিসারদের নাম করে হুমকি দিচ্ছে। সুরক্ষা বলয় যদি আদালত দেয়, তাহলে গণতান্ত্রিক ভাবে কথা বলতে কেন বলছেন না।"
আরও পড়ুন, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে কল্লোলিনীতে আজ চাঁদের হাট
সুর চড়িয়ে কুণাল বলেন, "অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারী সহ যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে এই ঘটনারও আমরা তদন্ত চাইছি। মানুষকে বিপদে ফেলে তাঁরা পালিয়ে গিয়েছেন। লোক হবে না জেনে কম্বল দেয়। মুখ দেখাতে পারবেন না, বলে পালিয়ে গিয়েছেন। একটা অ্যাম্বুলেন্স কেন ছিল না। সারদা-নারদার টাকা নিয়েছো। তার জন্য কম্বল দিয়ে লোক টানছে। গাড়ি ঘুরিয়ে গেলেন না কেন?"