গোটা গান জুড়ে বিজেপি বিরোধিতার সুর। এদিন উত্তর কলকাতার কুমারটুলি ঘাটে এই গান রিলিজ করা হয়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গান। নাকি প্রতিবাদী পুজোর গান ? সাংবাদিক, প্রাক্তন সাংসদ, লেখক পরিচয়ের পাশাপাশি এবার গায়কও হলেন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পুজোর আগে নতুন গান রেকর্ড করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল। এই প্রথম গায়ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ তাঁর।
advertisement
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গান রেকর্ড করলেন তিনি ৷ প্রীতম দে’র লেখা গান, প্রচলিত সুরের আয়োজন করেছেন বিজয় সুরদীপ শীল। জীবনের প্রথম গানেই জ্বালাময়ী বিষয় বেছেছেন কুণাল। তাঁর গলায় পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ায় মানুষের দুর্ভোগকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন তিনি।গানের লাইনের ছত্রে ছত্রে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ। এর আগে একাধিক বার পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- ঠিকানা বদল হতে চলেছে বিজেপি রাজ্য দফতরের
দলের ছাত্র-যুব-শাখা সংগঠনও একাধিকবার আন্দোলন করেছে ৷ কুণালের পাশাপাশি বেছে নিয়েছেন ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলন’! সাধারণ মানুষের ইস্যুকে নিয়ে গানের মাধ্যমে মানুষের মনে পৌঁছে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত অভিনব বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। গত ২০ অগাস্ট দক্ষিণ কলকাতার এক স্টুডিওতে গান রেকর্ড করেন কুণাল ঘোষ। কী রয়েছে এই গানে?
প্রীতম দে লিখেছেন,
ওরে কে কোথায় আছিস? বোরোলিন আন....
তেলের দামে, লাগছে ছ্যাঁকা।
লাটে উঠছে ঠাকুর দেখা।
গাড়ির ট্যাংক ফুল্টু ফাঁকা।
তেল ভরিয়ে দে, তেল ভরিয়ে দে।
নাহলে দাম কমিয়ে দে উমা।
নাহলে দাম কমিয়ে দে উমা।
হঠাৎ এমন ইস্যু নিয়ে গান গাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন ? কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব হল দুর্গাপুজো। “সেই উৎসবে মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করো৷ পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে মানুষের চরম অসুবিধা হচ্ছে ৷ এত দাম খাব কী? মানুষ গাড়িতে চড়ে যাবে কী করে? এত দাম জ্বালানির! তাই আমাদের প্রার্থনা মায়ের কাছে ৷ তেল ভরিয়ে দাও, নয়তো গাড়ির তেলের দাম কমিয়ে দাও। তাই গানে গানে এই প্রার্থনা সারলাম,” বলেন তৃণমূলের গায়ক-প্রাক্তন সাংসদ-সাংবাদিক কুণাল ঘোষ!