যা- কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, “কেষ্টা বেটাই চোর।”
উঠিতে বসিতে করি বাপান্ত, শুনেও শোনে না কানে।
যত পায় বেত না পায় বেতন, তবু না চেতন মানে।
বড় প্রয়োজন, ডাকি প্রাণপণ চিৎকার করি ‘কেষ্টা’—
যত করি তাড়া নাহি পাই সাড়া, খুঁজে ফিরি সারা দেশটা।
advertisement
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'পুরাতন ভৃত্য' কবিতার এই লাইনগুলোই আজ রাজনৈতিক কারণে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। জন্মাষ্টমীর দিন সকাল বেলাই একটি দুগ্ধ সংস্থার বিজ্ঞাপনে ব্যবহার হয়েছে একটি লাইন, 'কেষ্টা ব্যাটাই চোর'। আর এই লাইনকে ঘিরেই শুরু হয়েছে তরজা। তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী রাজনৈতিক দল এই লাইনের সাথে তুলনা করেছে অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেষ্টর। আর এই বিজ্ঞাপনকে রবীন্দ্রনাথের লেখার বিকৃতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমীতে ব্যাপক চমক আমূলের, কী এমন লেখা বিজ্ঞাপনে...
এদিন কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘একটি সংস্থা গুজরাতের, তারা বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। আমি মামলার পক্ষে বা বিপক্ষে বলছি না। যে ভাবে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তাতে রবীন্দ্রনাথকে বিকৃত করা হয়েছে। কেষ্টা বেটাই চোর বলে কটাক্ষ, যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। নানা রকম তিরস্কার পায়। যে লাইন ব্যবহার হল তা রবীন্দ্রনাথকে বিকৃত করা হল। বিচ্ছিন্নভাবে এই লাইনের ব্যবহার হল। সংস্থার অনুবাদকদের কেউ বলে দেননি, রবীন্দ্রনাথকে বিকৃত করা যায় না। যার সাথে রসিকতা করা হল তা যথাযথ নয়। অন্ধ আনুগত্য ওই কবিতায় দেখা গেছে। অন্যের বিপদ নিজের দিকে টেনে নিয়েছে সেই চরিত্রে। এই কবিতাটির মূল স্পিরিট চর্চা না করে এটা করছেন। এরা রবীন্দ্রনাথকে না পড়ে যান না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা সর্বভারতীয় ব্র্যান্ড। রাজনৈতিক প্রচারেও তারা ঢুকে যাচ্ছেন। গুজরাতের কোম্পানি বিকৃত প্রচারে ঢুকে গেলে অপরাধ ৷’’
আবীর ঘোষাল