প্রসঙ্গত, গত সোমবার ৩টে পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। সেই সময় অতিক্রান্ত। তবুও নীরবই ছিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। অবশেষে বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি হোটেলের ছবি দিয়ে কুণাল ঘোষ লিখলেন, ”হোটেল তাজ প্যালেস, নয়াদিল্লির অকথিত কাহিনির নায়ক ভুলে যাচ্ছেন, আইনত চলতি শপথ বিতর্কে তাঁর ভূমিকা নেই। তিনি ছাড়াও সব হতে পারে। সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবা ভুল। যাদের বুদ্ধিতে চলছেন, তারা আপনাকে আরও ডোবাবে। বিধানসভার অধ্যক্ষের সাংবাদিক বৈঠকে নজর রাখুন।”
advertisement
আরও পড়ুন: রাজভবনের সামনে ধর্না ইস্যু, ‘কৃতজ্ঞ, আমার লড়াইয়ে সিলমোহর দিল আদালত…’ প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
এর আগেও রাজ্যপালকে হোটেল-হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণাল। তবে, মূল বিষয়টি খোলসা করেননি তিনি। বৃহস্পতিবারের ট্যুইটেও তিনি দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলের কথা উল্লেখ করলেও কোনও আভাস এখনও দেননি। তবে, বিতর্ক উসকে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মানহানি মামলার শুনানি আগামী ১০ জুলাই হবে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি শুনানির তালিকায় না থাকায় রাজ্যপালের আইনজীবী বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরেই বিচারপতি মামলার শুনানির পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেন।
লোকসভা ভোটের সঙ্গে বাংলার দুই বিধানসভা উপনির্বাচনে (বরাহনগর, ভগবানগোলা) জয়ী হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন। কিন্তু ফল ঘোষণার প্রায় ১ মাস হলেও শপথ নিতে পারছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত এই দুই প্রার্থী। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের জেদের জেরে তা থমকে আছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীদের। রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে শপথগ্রহণের বদলে স্পিকারের কাছে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করতে আগ্রহী সায়ন্তিকা-রেয়াতরা। এমনকী বিধানসভায় এসে রাজ্যপালও শপথ করাতে পারেন বলে মত তাঁদের। যা মানতে নারাজ আনন্দ বোস। এই পরিস্থিতিতে সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে।