আরও পড়ুন: তারকা বাবুলের সঙ্গে সেলফির হিড়িক, প্রথম দিনের বিধানসভা অধিবেশনে
কিন্তু এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকুল। করেনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দু'বছর কার্যত বন্ধ থাকার পর পুজোতে মানুষের উৎসাহ অনেকটাই বেশি। এছাড়াও এই উৎসবকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ায় বাড়তি উদ্যমে নেমে পড়েছেন উদ্যোগতারা। কুমোরটুলিতে এবারে বড় প্রতিমার বায়না বেশি। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে অনেকটাই। এতকিছুর মধ্যে উদ্যোগতারা একটু দরাজ হাতে দাম দেবেন বলেই আশাবাদী শিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই ছুটবে বাংলায় ছুটবে এসি লোকাল? এই রুটে শুরু হতে পারে পরিষেবা
কুমোরটুলির শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পাল বলেন, "জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই বেড়েছে। প্রতিমা তৈরির কাঁচা মালের দাম বেড়েছে। লেবার খরচ, পরিবহন খরচ সবই বেড়েছে। এর উপরে গত দুবারের ধাক্কায় আার্থিকভাবে অনেকটাই সমস্যায় রয়েছে শিল্পীরা। সেই অবস্থায় ঠাকুরের দাম একটু বাড়বে। একই সঙ্গে একথাও সত্যি যে এবারে ঠাকুরের চাহিদা ভালোই রয়েছে। বিশেষ করে বড় ঠাকুরের চাহিদা। পয়লা বৈশাখের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বায়না। স্বাভাবিক সময়ের মতোই তৈরি হচ্ছে ঠাকুর। আশা করি পুজো উদ্যোগতারা সহযোগিতা করবেন। আমারও দু-তিনটে প্রতিমার বায়না হয়ে গিয়েছে। আশা করি এবারে ভালোই হবে।"
কুমোরটুলির আরেক শিল্পী মিন্টু পাল বলেন, "কম করে তিরিশ শতাংশ দাম বাড়বে। জিনিসের যা দাম বেড়েছে এর চাইতে কমে বিক্রি করলে শিল্পীদের হাতে আর কিছুই থাকবে না। ঠাকুরের চাহিদাও বেশ ভালো আছে। আশা করি পুজো উদ্যোগতারা বুঝবেন। দু'বার করোনার জন্য ধাক্কা খেয়েছে শিল্পীরা। এ বার একটু ভাল দাম পেলে আশা করি কাটিয়ে উঠতে পারবো।" সব মিলিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন শিল্পীরা। সকলের মনে একটাই কথা দুগ্গা দুগ্গা করে ভালোই হবে এ বারের পুজো।
UJJAL ROY