শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "হাইকোর্টের সুপরিচিত আইনজীবী ভাতৃপ্রতিম কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে মাঝরাতে মমতা পুলিশের হানা দেওয়া ও বেআইনি গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাই। কৌস্তভ অবশ্যই এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এক প্রতিবাদী কণ্ঠ। তাঁর গ্রেফতারি হল পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী কণ্ঠকে দমন করার এক অপচেষ্টা। যদি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য গ্রেফতারির করা হয়, তাহলে আগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত দেশের সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বারংবার তুই তোকারি করে ব্যক্তিগত কুরুচিকর শব্দবন্ধ প্রয়োগ করার জন্যে।"
advertisement
তিনি আরও বলেন, "আজ যা হল তা কংগ্রেসের তৃণমূলের প্রতি 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' সম্পর্কের জন্যে। কয়েকটা উদাহরণ উল্লেখ করলাম, মেট্রো ডেয়ারির মালিকানাধীন সংস্থা কেভেন্টারের হয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে মামলা লড়তে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে আসেন কংগ্রেসের বরিষ্ঠ কেন্দ্রীয় নেতা পি চিদাম্বরম। DA মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষে সওয়াল করছেন কংগ্রেসের সাংসদ-আইনজীবী ডঃ অভিষেক মনু সিংভি।"
আরও পড়ুন, 'মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে...' ফুঁসছেন দেবাংশু
আরও পড়ুন, বর্ধমানে দুই শিশুর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক! অ্যাডিনো নয়তো..
শুভেন্দু বলেন, "হয়তো কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা ডঃ অভিষেক মনু সিংভিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সদস্য করতে তৃণমূল বিধায়করা যে সমর্থন করেছিলেন তাঁর প্রতিদান দিচ্ছেন। কেষ্ট মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা রুখতেও জামিন করাতে মহামান্য দিল্লি হাইকোর্টে বুক চিতিয়ে লড়ছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা কপিল সিব্বল। সর্বশেষে আমার কাছে নন্দীগ্রামে ১,৯৫৬ ভোটে হেরে মাননীয়া যখন ভবানীপুরে নির্বাচনে লড়তে গেলেন তখন কংগ্রেস সমর্থনসুচক ভাবে প্রতিনিধি নামালেন না নির্বাচনে। তাই কংগ্রেসের এইরকম সিদ্ধান্তহীনতার ফল কৌস্তভের মত ব্যক্তিদের ওঠাতে হচ্ছে।"