নারায়ণগড়ে নিজের গড় হারানোর পর কোথায় দাঁড়িয়ে সূর্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ? বাংলার ভোটযুদ্ধে হেরে তিনি কি আত্মঘাতী বাঙালি?
একাধারে দলের রাজ্য সম্পাদক। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, সঙ্গে ভোটপ্রার্থীও। যে নজির সম্ভবত দলের আর কোনও নেতার ঝুলিতে নেই।
ভোটে জিতলে নাকি ফ্রন্ট ও জোটের মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রধান দাবিদার ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্রই। কিন্তু পুরো ছবিটাই যে পালটে গেল ১৯শে মের ভোটগণনার পর।
advertisement
দলকে সম্মানজনক আসনে জেতানো দূরে থাক, নিজের গড় নারায়ণগড়ই ধরে রাখতে পারলেন না সূর্যকান্ত।
ভোটযুদ্ধের শুরুতে অবশ্য ছবিটা ছিল আলাদা। জোট-প্রশ্নে দলের কেরল লবির সঙ্গে কার্যত কুস্তি লড়েছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। আলিমুদ্দিনের অন্দরেও সামলাতে হয়েছিল বিমান বসুদের। তলার ফল কুড়োতে গিয়ে, দীর্ঘদিনের ফ্রন্ট শরিকদের স্বার্থও জলাঞ্জলি দিতে পিছপা হননি তিনি।
খামতি রাখেননি প্রচারপর্বেও। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠতে, রাজ্যের এমাথা থেকে ওমাথা প্রচার চালিয়েছিলেন সূর্যকান্ত। সারদা-নারদ-উড়ালপুল, শাসকের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেছিলেন একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুকে। ফ্রন্ট ও জোটকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ২০০ আসনের।
১৯শে মের পর সব স্বপ্নই অধরা থেকে গেল।এবারের মতো আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হল না ডাক্তারবাবুর।
সংখ্যার হিসেবে বিরোধী দলনেতার পদ হারানোও এখন সময়ের অপেক্ষা। দলের বিপুল ব্যর্থতার পরও কি ধরে রাখতে পারবেন রাজ্য সম্পাদকের পদ? আঁকড়ে ধরতে পারবেন পায়ের তলার মাটি?
পরিবর্তনের বাংলায় যেন ফের একবার পরিবর্তনের মুখে সূর্যকান্ত মিশ্র।