রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, " ফেরুল বাড়ানোর জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। ফেরুল বাড়ানো হলে প্রতিটি খাঁচায় জলের পরিমাণ বাড়বে ৷ তাতে সুবিধা হবে ৷ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সারাক্ষণ নজর রাখছেন পশু-পাখিদের চিকিৎসক মারফত। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলছে সারাদিন। তবে জলের জোগান এই গরমে না বাড়ালে মুশকিল ৷ যেহেতু পুরসভা এই জলের জোগান দেয়, তাই তাদের কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছি, ফেরুল বাড়ানোর জন্য।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ মোবাইল ছুঁড়ে ফেলার পর একেবারে অন্যভাবে ভাবছে সিবিআই, নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে নতুন পদ্ধতি
গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে তাই তোড়জোড় আরও বেশি করা হচ্ছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, 'প্রতিটি এনক্লোজ়ারেই ক্যামেরা রয়েছে। সেই ক্যামেরা দিয়ে সর্বক্ষণ নজরদারি চলছে প্রতিটি পশুপাখির উপর। কারও আচরণ, চলাফেরা অন্য রকম মনে হলেই সেখানে চিকিৎসকরা পৌঁছে যাবেন।'
গরমে পশুপাখিদের স্বস্তি দিতে ব্যবস্থা করা হয়েছে ধারাস্নানের। পাখিদের ও ছোট আকারের পশুদের জন্য থাকছে স্প্রিঙ্কলারের ব্যবস্থা। সরীসৃপদের জন্য ঘরে থাকছে এই ব্যবস্থা। আর বাঘ-সিংহ বা ভালুকদের পাইপ দিয়ে স্নান করানোর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য হাতিদের এনক্লোজারে শাওয়ারের জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তীব্র গরমে নাকাল পড়ুয়ারা! সোমবার থেকে রাজ্যের সব স্কুলে ছুটি, জারি নির্দেশিকা
নিরামিষাশী পশুদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বাড়ানো হয়েছে তরমুজের মতো রসালো ফল এবং পেঁয়াজের পরিমাণ। ভালুককে বেশি করে টক দই আর বাবু-সহ চার শিম্পাঞ্জিকে ঘোলের সরবত খাওয়ানো হচ্ছে। বাঘ-সিংহ, লেপার্ড ও জাগুয়ারের খাদ্য তালিকা থেকে মোষের মাংসের পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুরগির মাংস। বাঘের খাঁচার কাছে তো বটেই আশপাশেও বড় বড় পাত্র রাখা হয়েছে। সেগুলোতে জল ঢেলে রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে বাথ টাব। তা ছাড়া বাঘের বিচরণ ক্ষেত্রের বেশ কিছু জায়গায় ছায়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।গরমে তাদের যাতে কষ্ট না হয়, তার জন্য বিশেষ পাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।গরমে একটি বাঘও যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে, তার জন্য দিনে অন্তত পক্ষে দু’বার করে স্নান করানো হচ্ছে তাদের। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের ঘন ঘন দেওয়া হচ্ছে ওআরএস মেশানো জলও।