TRENDING:

Kantapukur Morgue : মৃত্যুতেও জুলুম! ময়নাতদন্তের পর ছেলের দেহ পেতে অর্থভিক্ষা করছেন বাবা

Last Updated:

এরকম মর্মান্তিক অবস্থা কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গে (Kantapukur Morgue)

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা : ছেলে মারা গিয়েছেন। মর্গের বাইরে অসহায় বাবা ভিক্ষে করে একশ,পঞ্চাশ জোগাড় করছেন।এসেছেন দূর এক গ্রাম থেকে।মর্গের ডোমেদের দাবি, ছ’ হাজার টাকা। কোনও ভাবে এক হাজার টাকা জোগাড় করেছে। কিন্তু ওই টাকায় কোনভাবেই মানছে না ডোমেরা। চোখের জল গামছা দিয়ে মুছতে মুছতে বলছিলেন,'বডিটা পচে যাবে। আজও বডি পাবো না।'  এরকম মর্মান্তিক অবস্থা কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গে (Kantapukur Morgue)।
advertisement

আরও পড়ুন : রাজ্যে করোনা সতর্কতার বাঁধন আলগা, দুই জেলা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই যাচ্ছে!

নন্দন হেমব্রম, এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে অনুরোধ করছিলেন সবাইকে। ১৭ নভেম্বর মহেন্দ্রনাথ হেমব্রম(২৪)সোনারপুর থানার (Sonarpur Police Station) বিদ্যাধরপুর মেসে হঠাৎ করে মারা যান। মহেন্দ্রর সঙ্গে ওর সহপাঠী বন্ধু মৃণাল থাকতেন । মহেন্দ্র কম্পিউটার হার্ডওয়্যার নিয়ে পড়াশুনা করছিলেন ।বাড়ি বাঁকুড়ার শালতোড়া থানা এলাকায় দীগতর গ্রামে।

advertisement

আরও পড়ুন : হঠাৎই শৈশবে ফিরে গেলেন দিলীপ ঘোষ! যে ভূমিকায় দেখা গেল, অবাক সকলে...

পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই দেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই রাতে সোনারপুর থানার পুলিশ মেস থেকে থানা হয়ে মর্গ পর্যন্ত দেহ নিয়ে যেতে চার হাজার টাকা নেয়। বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছিল। টাকার অভাবে মহেন্দ্রর বাবা দেহ নিতে পারেননি মর্গ থেকে। সামান্য রোজগেরে নন্দন মাসে তিন হাজার টাকা রোজগার করেন। ছেলের দেহ নিতে মর্গের ডোমেদের ছয় হাজার টাকার দাবির চাপ না নিতে পেরে অসহায় হয়ে সকাল থেকে ঘুরছিলেন কাঁটাপুকুর মর্গে।

advertisement

আরও পড়ুন : চিরকুটেই আসত নির্দেশ, সুব্রতদাকে চিরকুটেই বিদায় বার্তা লিখলেন দেবব্রত

অনেক অনুরোধ করার পর দু-হাজার টাকায় রাজি হন ডোমেরা । সেই টাকাও দিতে পারেননি নন্দন। অবশেষে সংবাদমাধ্যমের চাপে এবং পুলিশের তৎপরতায় দেহ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।  ডোমেদের দাবি, ময়নাতদন্তের পরে মৃতদেহ সেলাই করতে গেলে তাঁদের মানসিক প্রস্তুতির জন্য আনুষঙ্গিক খরচ থাকে। যার জন্য ওই টাকা দাবি করেছেন তাঁরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেশের সংস্কৃতি-পরম্পরার অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন! আইআইটি খড়গপুরে মন ভাল করা দৃশ্য
আরও দেখুন

তবে অবশেষে পাঁচশ টাকা ঘুষ হিসেবে দিতেই হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার পরই ছেলের দেহ পায়।   অভিযোগ, প্রতিদিন কাটাপুকুর মর্গে ভয় দেখিয়ে,  জুলুমবাজি করে ডোমেরা পাঁচ থেকে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন, যে ডাক্তার, ওই মর্গের চার্জে থাকেন, তিনি কি জানেন না? প্রতিদিন গড়পড়তায় দশটির মত ময়নাতদন্ত হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kantapukur Morgue : মৃত্যুতেও জুলুম! ময়নাতদন্তের পর ছেলের দেহ পেতে অর্থভিক্ষা করছেন বাবা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল