আজ, বুধবার বিকেলে আবহাওয়ার পরিস্থিতি হিসেবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুরনিগম। CESC জানিয়েছে, লাগাতার বৃষ্টিতে শহরের একাধিক জায়গায় জল জমে যায়। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। সিইএসসি-র কর্মীরা দিন রাত কাজ করছে। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপরেও।
আরও পড়ুন– ৩৯ বছর পর এক দিনে এতটা বৃষ্টি কলকাতায়, মৃত্যু ১০ জনের ! বুধবার দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে?
advertisement
আজ, বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে কলকাতার একাধিক রাস্তায় এখনও জল জমে। উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, রাজা রামমোহন সরণী, কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে এখনও জল জমে রয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার টেগোর পার্ক, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, পাম অ্যাভিনিউ-সহ একাধিক রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে আছে। নিউ গড়িয়া আবাসনের ভিতর জলমগ্ন। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর রাতের মধ্যেই বহু এলাকায় জমে থাকা জল নেমে যায়। কিছু জায়গায় জল জমে আছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেই জল নামানোর কাজও চলছে।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, পথে বেরিয়ে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুলগুলোতে আগাম পুজোর ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও ২ দিন ওয়ার্ক ফ্রম হোম করানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। বিভিন্ন গলিপথ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্তও সেই জল নামেনি। পুজোর মরশুমে শহরকে জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুর প্রশাসন। কিন্তু কলকাতাবাসীর দুর্ভোগ পুরোপুরি কাটেনি। বুধবার পরিস্থিতি কেমন থাকে, সে দিকে নজর থাকবে।