একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গার্ডগুলির সরঞ্জাম সম্পর্কিত রিপোর্ট এবার থেকে জমা দেবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকরা।
হঠাৎ সিগন্যালের সব কটি আলো একসাথে জ্বলছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড় পারাপারে থমকে গিয়েছে গাড়ি। চালকের আসনে বসে কার্যত দ্বিধাগ্রস্ত চালক। আবার একই অবস্থা পথচারীর, সামনে এগোবেন, নাকি দাঁড়িয়ে থাকবেন? এমন চিত্র প্রায়শই ঘটে থাকে ব্যস্ততম তিলোত্তমায়।
advertisement
আরও পড়ুন- সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ! জীবনের বার্তা নিয়ে সাইকেলে বাংলাদেশ পাড়ি সিভিক ভলান্টিয়ারের
আবার গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন, চোখ এড়িয়ে গেল সিগন্যাল। কারণ গাছের ডালে ঢাকা পড়েছে সিগন্যালের সাংকেতিক আলো। এমন ঘটনায় কখনও দুর্ঘটনাও ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে, আবার ট্রাফিক সিগন্যাল লঙ্ঘণের মাশুল গুনতে হতে পারে চালককে।
শুধু সিগন্যাল বিভ্রাট নয়, শহরের অনেক ট্রাফিকগার্ডে গার্ডরেলের রিফ্লেক্টর স্ট্রিপ খুলে গিয়েছে বা ফিকে হয়ে গিয়েছে। ফলে রাতে গাড়ির হেডলাইটের আলো পড়লেও কাজ করছে না রেডিয়াম। এমনই সব ট্রাফিক সরঞ্জাম বিভ্রাট দূর করতে উদ্যোগী লালবাজার।
কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের তরফে ট্রাফিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নেওয়া হয়েছে অভিনব পন্থা। শহরের ২৫টি ট্রাফিক গার্ডের সরঞ্জাম কে কত ভাল রক্ষণাবেক্ষণ করবে, তার হবে মাসিক মূল্যায়ন।
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে খবর, ১০টি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ণ হবে কোন ট্রাফিক গার্ড রক্ষণাবেক্ষণে কেমন নজরদারি রাখছে।
মূলত সিগন্যাল পোস্ট, স্প্রিং পোস্ট, গার্ড রেল, ট্রাফিকের প্রতীক- এই বিষয়গুলি বিভ্রাট এড়াতে কেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই কাজগুলি দেখার জন্য প্রতি গার্ডে একজন করে লাইট অপারেটর থাকেন। তিনি এলাকায় ঘুরে বিভ্রাট চিহ্নিত করে গার্ডের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট দেন। তবে এবার থেকে এই রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- স্ত্রী বিয়োগ, মানসিক যন্ত্রণা! এটাই কি ছিল আটতলা থেকে মরণঝাঁপের কারণ?
জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক পান্ডে সন্তোষ জানিয়েছেন, সরঞ্জাম বিভ্রাট দূর করতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আরও কী ভাবে উন্নতি করা যায়, তাতে জোর দেওয়া হচ্ছে। একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে।
গার্ডগুলো থেকে প্রতি মাসে রিপোর্ট তৈরি করে সংশ্লিষ্ট গার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের কাছে রিপোর্ট জমা পড়বে। সেই রিপোর্ট লালবাজারে কমিটির কাছে পাঠাবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। তা বিশ্লেষণ করে কাজের মূল্যায়ন হবে।
আর নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যেমন সাধারণ পথচারী মানুষ থেকে গাড়ি ব্যবহারকারী উপকৃত হবেন, তেমন ভাবে বিভ্রাট ঘটলে খুব দ্রুত মেটানোর উদ্যোগ নেবে গার্ডগুলো, এমনই মনে করছে করছে লালবাজার।
