এত দূর থেকে যদি বিষয়টা এরকম লাগে তাহলে যারা সেই দেশে থাকে তাঁদের অবস্থা কী? কথায় কথায় ফতেয়া দেওয়া সেই দেশে মহিলারা কী ভাবে থাকেন? সংখ্যালঘু মানুষের জীবনযাপন কি নিরাপদ? গান, সিনেমা বা খেলাধূলা তালিবানরা কী রকম ভাবে নেয়? ওদের কথা না মানলে তাঁদের সাথে কী করে তালিবানরা। ওখানে কি মানুষ হাসতে পারে নাকি শুধুই আতঙ্কে দিন কাটায়?
advertisement
আরও পড়ুন: মনপসন্দ সোনার গয়না না দিতে পারায় বধূকে 'খুন'! ফরাক্কায় ভয়াবহ ঘটনা
তালিবাদের সঙ্গে যখন মার্কিন সেনার যুদ্ধ হত তখনতো যুদ্ধ বিমান থেকে অগুনতি বোমা এসে পড়ত মাটিতে। অথবা বাজারের মতো জনবহুল স্থানে যেখানে আকছার বোমা বিস্ফোরণ হয় সেইসব এলাকার মানুষেরা কীভাবে নিজেদের বাঁচায়? ভারত সম্পর্কে তালিবানদের কী মনোভাব? এরকম হাজার প্রশ্ন বুকের ভিতরে জমাট বেঁধে রয়েছে। সামনে আফগান ব্যবসায়ীকে পেয়ে তারই উত্তর খুঁজে চলেছে সেই দেশের থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা এই শহরের বাসিন্দারা। কলকাতার সায়েন্স সিটির ময়দানে চলছে আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ার। সেখানে আফগানিস্তান থেকে নিয়ে আসা পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। খেজুর কাজু, আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুটসের পাশাপাশি পোশাক, হস্তশিল্প ইত্যাদি নিয়ে এসেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এই শহরের মানুষেরাও কেউ কিনতে কেউ দেখতে সেখানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছেন। আর সুযোগ পেলেই মনের ভিতরে থাকা প্রশ্নের উত্তরগুলো পেতে চাইছেন কৌতূহলী জনতা। আফগান ব্যবসায়ীদের কাছে তালিবানের গল্প শুনতে চাইছে মেলার দর্শকেরা।
আরও পড়ুন: পৌষ অমাবস্যার কালী পুজোয় ভোগ দেওয়া হয় মূলো, বাগনানের জাগ্রত মন্দিরে উপচে পড়ছে ভিড়
কাজের ফাঁকে যতটা সম্ভব উত্তরও দিচ্ছেন তাঁরা। দেবেশ দাস নামে মেলায় আসা এক দর্শক বলেন, "ভাবতে পারছেন তালিবানদের দেশে ওরা থাকে। আমিতো ফুটো মাস্তান দেখলেই কেমন সিঁটিয়ে যাই। তাহলে ওদের অবস্থাটা কী হয় সেটাই ভাবছি। সেই দেশের উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছি ওদের কথা শুনে।" কাবুলের ব্যবসায়ী ইজাজ নুরি বলেন, "এই তালিবানরা আগের মতো নয়। অনেকটাই নরম। ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে আমরা আগ্রহী। আর এখানকার লোকও অনেক আন্তরিক। এদের সাথে কথা বলতেও ভাল লাগে।" মেলায় আসা আরেক দর্শক প্রসান্ত সাহা বলেন, "কে বলল আমরা শুধু ভয়, আতঙ্ক, সন্ত্রাসের কথা শুনতে চাইছি। আমি তো ওদের কাছে জানতে চাইছি মিনি কেমন আছে? কাবুলিওয়ালা কেমন আছে? যে এখানে এসেছিলেন ব্যাবসা করতে। আবার নিজের ছোট্ট মেয়ে মিনির টানে দেশে ফিরে গিয়েছিল? তাঁরা ভাল থাকুক। ওই দেশের সাথে তো আমাদের অনেক পুরনো সম্পর্ক। দেশে ফিরে আমাদের কথা তাঁদের জানাতে বলেছি। মিনিকে নিয়েই এদেশে আসতে বলেছি।"