নতুন বছরের শুরুতে কলকাতায় বসছে এই জি-২০ বৈঠক। আগামী মাসে আসর বসবে এই বৈঠকের। এই উপলক্ষে নতুন ভাবে সেজে উঠছে শহর। বন্দর সূত্রের খবর, পোর্টের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাতের সংস্কার এবং আলো ও সবুজায়নের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। শহরের সৌন্দর্যায়নে নবান্নের তরফে কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগেই। বন্দরের তরফে ইতিমধ্যেই একাধিক কাজ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত আর ক'দিন? কোথাও বাড়ছে কুয়াশা, কোথাও শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা! আবহাওয়ার বড় আপডেট
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দেশ-বিদেশের অতিথিরা শহরে পা রাখবেন। তাঁদের কাছে শহরকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলে ধরতে কোনও রকম কার্পণ্য করতে চায় না শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর। দেশের অন্যতম এই নদী বন্দরের ইতিহাস দেশ বিদেশের মানুষকে আকৃষ্ট করে। তাই বন্দর এলাকা সাজানো হচ্ছে। কেএমডিএ ও কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগ ই এম বাইপাসের দু’ধারে বিভিন্ন রকম সুন্দর গাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চার ফুট উচ্চতার বড় গাছও লাগানো হচ্ছে সেখানে। এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বকুল, জারুল, দেবদারু-সহ বিভিন্ন ফলের গাছ। ই এম বাইপাস রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সম্প্রতি কেএমডিএ-র থেকে কলকাতা পুরসভার হাতে এসেছে। তাই সেখানে বিভিন্ন পরিষেবামূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের শনিবার সরগরম রইল নন্দীগ্রাম! 'শহিদ' তুমি কার? ইতিহাস ঘাঁটল দু'পক্ষই
বন্দরের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘জি-২০ সম্মেলনে বিমানবন্দর থেকে ই এম বাইপাস ধরে অতিথিরা শহরে আসবেন। তারা হাওড়া ব্রিজ দেখতে যেতে পারেন৷ তাই সেতু রঙ করা হয়েছে। ফুটপাতের রেলিঙ সারানো হয়েছে। সেগুলিকে রঙীন করে তোলা হয়েছে। বন্দরের সব ভাসমান বয়া সেজে উঠেছে নীল-সাদা রঙে। এছাড়া নিমতলা ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট, শোভাবাজার ঘাট, কুমারটুলি ঘাট, মায়ের ঘাট, কাশীপুর সর্বমঙ্গলা ঘাট সংস্কার করে ফেলা হয়েছে। এছাড়া হাওড়া ব্রিজে বিশেষ আলোও জ্বলবে।"
কেএমডিএ সূত্রের খবর, বাইপাসের পাশাপাশি শহরের অন্যান্য এলাকার সৌন্দর্যায়নেও জোর দেওয়া হচ্ছে। যে সব রাস্তা দিয়ে অতিথিরা যাতায়াত করবেন, সেই সমস্ত রাস্তাকে চিহ্নিত করে সাজানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে।" বাইপাস-সহ অন্যান্য রাস্তায় আধুনিক এলইডি আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও, নির্মীয়মাণ মেট্রো এলাকায় গার্ডওয়াল দিয়ে প্রচারমূলক ব্যানার লাগানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে শহরে সবুজায়নের উপরে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।