যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই রাস্তাটা ২০১৮ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। এর পরেও সেই রাস্তার এই দুর্দশা কী করে হল তা জানতে একটা তদন্ত কমিটি গড়া হল কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে। কারণ বন্দর এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ যা বন্দর বিধানসভা এলাকার সঙ্গে যুক্ত সেখানে রাস্তার কাজ বন্দর ও কলকাতা পুরসভা ভাগাভাগি করে সম্পূর্ণ করে। বন্দর সূত্রে খবর, বন্দরের রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সব ইঞ্জিনিয়াররা এবার থেকে প্রতিনিয়ত রোড মনিটরিংয়ের কাজ করবেন।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘খেলা হবে’ গান ফের নতুন করে আসারই ইঙ্গিত দেবাংশু ভট্টাচার্যর
বন্দর এলাকায় ভারী যান চলাচল করে, ফলে সেভাবেই রাস্তা তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে চার বছরের মধ্যেই রাস্তার এই হাল কী করে হল তা জানতে চাইছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, খিদিরপুর থেকে বন্দর বা ডক এলাকার রাস্তায় বোর্ড লাগানো থাকবে। সেই বোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের নাম ও ফোন নাম্বার লেখা থাকবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কারণ রাস্তা খারাপ হলেই জনগণ ফোন করে সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন : দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পরে চিনা রেকের স্পিড ট্রায়াল হল কলকাতায়
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই রাস্তা কংক্রিট অথবা পেভার রোডে বদলে ফেলা হবে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারা জলের পাইপ লাইনের জন্য রাস্তা খোঁড়ার কাজ করছিল সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় ড্রেনেজের সমস্যার জন্য কলকাতা পুরসভাকে আবেদন জানানো হয়েছে। বন্দর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘‘আমরা অনুরোধ করছি সকল সংস্থাকে তারা যেন পর্যাপ্ত অনুমতি নিয়ে কাজ করেন।’’