থানায় অভিযোগ আসার পরে আধিকারিকদের যথেষ্ট চিন্তা বাড়ায় চুরির মোবাইল। দিনের পর দিন অভিযোগ যায় লালবাজার, কলকাতা পুলিশের ওয়াচ সেকশনের কাছে। খবর আসতেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু হয়। মোবাইল চোর ধরার পরিকল্পনা করা হয়।
অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা যায়, জনবহুল এলাকা অর্থাৎ বাজার, বাস স্টপেজ ও স্টেশন চত্বর থেকেই উধাও হচ্ছে মোবাইল। সকালে ও বিকালের দিকে মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে বেশি। মাঝে মধ্যেই সাদা পোশাকের পুলিশ এলাকা টহলদারি করার পরে শুরু হয় অপারেশন।
advertisement
গত সপ্তাহের শেষদিকে পুলিশ উদ্ধার করে প্রচুর মোবাইল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিয়ালদা স্টেশনের কাছে নজরদারি চালাচ্ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর সুশোভন পাইক এবং নীলেন্দু ঘোষাল। নেতৃত্ব দিচ্ছিল গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশনের একটি দল।
সমগ্র অপারেশনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ওয়াচ সেকশনের দক্ষ অফিসার ইন চার্জ ইন্সপেক্টর প্রদীপকুমার ঘোষাল। ফলস্বরূপ মাল সমেত পুলিশের জালে আটকা পড়ল দুই ব্যক্তি, আনস্বরুল হক ওরফে বাপ্পা, এবং মেহবুব আলম ওরফে গুড্ডু।
আরও পড়ুন- কাল থেকে ফের কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় বদল, জানুন লেটেস্ট ওয়েদার আপডেট
তল্লাশি করে ২৭টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অভিযুক্তদের কাছ থেকে। তল্লাশি করে জানা যায় সেগুলি চোরাই মাল। হাতেনাতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উঠে আসে নতুন তথ্য।
জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বাজার, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশনের মতো জনাকীর্ণ জায়গায় ফোন চুরি করত এই দুজন। উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলির মালিকদের খোঁজ চালাচ্ছে৷ পুলিশ। পাশাপাশি খোঁজ চলছে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হারানো মোবাইল সংক্রান্ত অভিযোগেরও। আপাতত দুই অভিযুক্তকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এত মোবাইল একসঙ্গে উদ্ধার হওয়ায় অনেক ব্যক্তি মোবাইল পুনরায় ফেরত দেওয়ার অপেক্ষায় পুলিশ।