আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'? এই মুহূর্তে কোথায় অবস্থান? কতটা প্রভাব পড়বে রাজ্যে?
চলতি বছরের শুরু থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শহরে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন সাইকেল ও বাইক সওয়ারিরা। এমনকি মৃত্যুর সংখ্যাও কমপক্ষে ৫০। লালবাজারের এফএসটিপি (যারা পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তদন্ত করে থাকে) বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আধিকারিকদের মতে, শহরে ঘটে চলা দুর্ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে বা যাঁরা বাইক বা সাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই নতুন চালাতে শিখেছেন। তাই অনেকেরই ট্রাফিক সিগন্যাল বা লেন পারাপার নিয়ে সম্যক ধারণা না থাকার কারণে দুর্ঘটনায় পড়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্যাসের সাবটিডি বিষয়ক ফোনে চাইছে ৪ সংখ্যার ওটিপি! জামতাড়া গ্যাংয়ের নয়া প্রতারণা কৌশল!
আবার বেশ কিছু সিগন্যালের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এমনও সওয়ারি, যাঁরা বাস বা ভারী যানের সামনে বা পাশে এসে গেলে হাত কাঁপছে।জখম ব্যক্তি হোক বা প্রত্যক্ষদর্শী, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও ‘অপরিণত’ হাতের তথ্যই পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ট্রাফিক বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি এই ধরনের চালকরা মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ। লাইসেন্স পেয়েই অনেকে রাস্তায় নেমে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। তাই আরও সতর্ক হতে বলব তাঁদের।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের সময় থেকেই সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন কাজ বা অফিস যাওয়ার জন্য বাইক ও সাইকেলে ভরসা করেছেন। সেই সময়ে অনেকেই নতুন বাইক, স্কুটি বা সাইকেল নিয়েছেন। লকডাউন পর্বে চালাতে শিখে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। সেই সময় গাড়ির চাপ কম থাকায় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আনলক পর্ব ও বর্তমান সময়ে ব্যস্ত রাস্তাতে সেই সকল সওয়ারিদের একাংশই পড়ছেন দুর্ঘটনার কবলে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বাইক ও স্কুটি নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আর সাইকেল আরোহীর সংখ্যা ৫। তাই ব্যস্ততম রাস্তাতে ফের সাইকেল নিষিদ্ধ করেছে লালবাজার। কিন্তু তোয়াক্কা না করেই ছুটছে সাইকেল।
Amit Sarkar