পুলিশ সূত্রের খবর তদন্তকারীদের মহুয়া ঘোষ জানান, ''গৌরহরি এই চিঠি পাঠাতেই পারেন না। ও অত্যন্ত ভালো ছেলে।'' তিনি এই হুমকি চিঠি পাঠাননি। কেন তাঁর নাম ব্যবহার করা হলো তাও তাঁর অজানা বলে জানিয়েছেন গৌরহরি মিশ্র নিজেও।
আরও পড়ুন: 'বিজেপি থাকছে', মোদি ও গেরুয়া শিবিরের শক্তির রহস্য কোথায়? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর
advertisement
আপনি কি কাউকে সন্দেহ করছেন? গৌরহরির কাছে জানতে চান তদন্তকারীরা। জবাবে তিনি বলেন,' না। আমি বুঝতেই পারছি না কেন আমার নাম ব্যবহার করা হল'। এমনটাই কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের গৌরহরিবাবু জানিয়েছেন বলে খবর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লেখা চিঠিতে তাঁর স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি যিনি দিয়েছেন তিনি ভুয়ো নাম ব্যবহার করেই স্পিড পোস্টের মাধ্যমে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে এক প্রকার নিশ্চিত পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিলল মমতা-অভিষেকের সবুজ সংকেত, BJP বিধায়ক চলে এলেন তৃণমূলে!
তাহলে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি কে পাঠাল? আসল প্রেরকের খোঁজে জারি তদন্ত। GPO থেকে speed post a পাঠানো ওই চিঠি সম্পর্কিত আরও তথ্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে নির্দিষ্ট ডাকঘরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও। প্রসঙ্গত, তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা দক্ষিণ কলকাতার একটি পোস্ট অফিসের সন্ধান পেয়েছেন। সেখান থেকেই স্পিড পোস্টের মাধ্যমে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি পাঠানো হয়। এই মুহূর্তে তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই পোস্ট অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। যেদিন যে সময়ে জনৈক ব্যক্তি সেই পোস্ট অফিস থেকে স্পিড পোষ্টের মাধ্যমে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি পাঠান সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে চিঠি প্রেরকের আসল পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রাণনাশের হুমকি চিঠির রহস্যভেদ করতে মরিয়া পুলিশ।