মাসখানেক আগে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, চেতলার 'শম্ভু অয়েল মিল' এ প্রথম সন্ধান পায় নকল সরষের তেলের। সেই তেল সংগ্রহ করে পুলিশ পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। ল্যাবরেটরির রিপোর্ট গোয়েন্দারা হাতে পেয়ে জানতে পারেন, ওটা আদতেও সরষের তেল না।সেই সূত্র অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের 'ডি কে এন্টারপ্রাইজে' এনফোর্সমেন্ট হানা দিয়ে ৪৫০ কেজি নকল সরষের তেল উদ্ধার করে। প্রতিটিই আরতি ব্র্যান্ডের।
advertisement
আজ বেলা বারোটা নাগাদ কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক যুগলকিশোর দা তাঁর বাহিনী নিয়ে হাজির হন হাওড়ার জালান কমপ্লেক্সের R.R PROTEINS & AGRO Ltd-এ। সেখানে গিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলেন ভেজাল তেল তৈরির কাণ্ডকারখানা। সাদা তেলের সঙ্গে রং, কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করছিল ১০০% শুদ্ধ কাচ্চি ঘানি সরষের তেল।আর প্রতারিত হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। শারীরিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিলেন অজান্তে।
আরও পড়ুন : সরস্বতী পুজোর পরদিন রাজ্যে কোভিড গ্রাফে স্বস্তি, হাজারের নিচে নামল দৈনিক সংক্রমণ!
এনফোর্সমেন্ট এর কর্তারা বাজেয়াপ্ত করেছেন ভেজাল ১১৫০টি ১৫ লিটারের টিন সরষের তেল। ২৪৭টিন রাইস ব্র্যান্ড তেল। এক লিটারের প্রায় ১০০০টি পাউচ। এছাড়াও ৯টন ভেজাল সরষের তেল। পুলিশ জানতে পেরেছে,এই সবের মালিক রিতেশ বেরিওয়াল। যিনি সল্টলেকে থাকেন। জালান কমপ্লেক্সে। এই ঘটনা দেখার পর এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের চক্ষুচড়ক গাছ। আরতি ব্র্যান্ডের সরষের তেল প্রতিদিন সাধারণ মানুষ খুব বিশ্বাসের সঙ্গে খায়।তবে প্রশ্ন উঠছে, এই প্যাকেটের গায়ে FSSAI এর লোগো নিয়ে। তাহলে FSSAI এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাহলে বাজারে, যে সমস্ত তেল বা খাদ্য দ্রব্য প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে, তার উপর কি ভরসা করা যায়?
শঙ্কু সাঁতরা