তবে আদতে এটা কি সেটা আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুকুর থানার অধীনে থাকা বাগবাজারে। সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে থাকা একটি বাগবাজার সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর রয়েছে। সেখানে ভ্যাকসিন জাতীয় বিভিন্ন মেডিসিন মজুত থাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে মেডিসিন রাখার জন্য বিভিন্ন ঘর পরিষ্কার করার সময় দেখা যায় একটি ঘরে বস্তা মধ্যে বিস্ফোরকের মতো দেখতে বস্তু। সঙ্গে সঙ্গে তারা স্বাস্থ্য ভবনে জানান। স্বাস্থ্য ভবন এবং ওই স্টোরে কর্মীরা শ্যামপুকুর থানায় খবর দেন।
advertisement
আরও পড়ুন - ‘‘ওকে তুলে দিতে হবে আমাদের হাতেই’’ স্বামীকে খুন করা স্ত্রীকে পুলিশের থেকে চাইল জনতা
এরপর শ্যামপুকুর থানা ঘটনাস্থলে যায়। সঙ্গে যায় বোম্ব ডিসপোসাল স্কোয়াডের আধিকারিকরা। বস্তা উদ্ধার হয়। লালবাজারের দাবি, এগুলি গ্রেনেডের মতো দেখতে হলেও প্রাথমিক অনুমান গ্রেনেডের খোল। তবে এগুলো ১৯৫৩ সালের গ্রেনেডের খোলের মতো দেখতে। ওই মেডিকেল স্টোরের দাবি, বিল্ডিংটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো। ফার্স্ট ফ্লোরে মজুত ছিল একটি বস্তা মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর, বস্তা থেকে ৯টি সন্দেহ জনক বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো ডিসপোসালের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ওয়াকিবহল মহলের প্রশ্ন, স্বাস্থ্য ভবনের অধীনে থাকা ওই বাগবাজার সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের ভিতরে কি করে এই সন্দেহজনক বস্তু মজুত ছিল? স্বাস্থ্য ভবনের ব্যাখ্যা , "ওখানে ভ্যাকসিন সহ বিভিন্ন জিনিস মজুত থাকে। কিন্তু বিল্ডিংটি ৩০০ বছরের বেশি পুরনো। বিট্রিশ আমল থেকে বিল্ডিংটি রয়েছে৷ সেখানেই পরিষ্কার করার সময় ব্যাগ ভর্তি গ্রেনেডের মতো দেখতে বিস্ফোরক জাতীয় দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে উদ্ধার করে। তবে সেটা গ্রেনেড না গ্রেনেডের খোল তা এক্সামিনেশনের পর বোঝা যাবে।"
আরও পড়ুন - Virat Kohli Viral Video: বাইশ গজ ছেড়ে কি এবার বউয়ের মতো নাচেই মন, বিরাটের নাচের ভিডিও তুলল ঝড়
বাগবাজারে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের কর্মী জানান, বিট্রিশ আমল থেকে এগুলো সম্ভবত রয়েছে। কারণ ওই রুম পরিষ্কার করার সময় চোখে পড়ে। তখনই আমরা খবর দেই শ্যাম পুকুর থানাকে। এব্যাপারে স্বাস্থ ভবন জানে।স্বাভাবিক ভাবেই ২১ জুলাইয়ের আগে শহর কলকাতা থেকে বিস্ফোরকের মতো দেখতে বস্তু উদ্ধার হওয়াতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
আশপাশের বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ বম্ব স্কোয়াড আসে। এরপরই দীর্ঘক্ষণ তারা ওই স্টোরে ছিলেন। যদিও লালবাজারের দাবি, ব্রিটিশ আমলের বিল্ডিং। এখানে দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ যায়। গ্রেনেডের খোল বলে প্রাথমিক অনুমান।ওয়াকিবহল মহলের প্রশ্ন, কি করে এতো গুলো বিস্ফোরকের মতো সন্দেহ জনক বস্তু ওখানে মজুত ছিল? কি উদ্দেশে রাখা ছিল? এতো দিন ধরে কেন চোখে পড়েনি? খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ।
ARPITA HAZRA