বুধবার আলিপুর বডি গার্ড লাইনে ক্রাইম মিটিং ও পুরভোট উপলক্ষে সব থানার ওসি, এডিশনাল ওসি, এসি-দের নিয়ে বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। সেখানেই তিনি বৈঠকের পর পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে এমনটা জানান। কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রর এটাই সম্ভবত শেষ ক্রাইম মিটিং। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ক্রাইম মিটিংয়ে কলকাতা পুলিস কমিশনার প্রতি থানাকে নির্দেশ দেন, পুরভোটে কলকাতা পুলিশের এলাকায় যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট হয় কোনও অশান্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কলকাতা পুলিশের সুনাম যাতে বজায় থাকে, যাতে নিরপেক্ষ, শান্তিতে ভোট হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি, ইউনেসকোর ঘোষণায় তিলোত্তমার ঐতিহ্য
এ বারে পুরসভার ভোটে কলকাতা পুলিশের এলাকায় ভোটের বুথ থেকে বুথের বাইরে রাস্তা পর্যন্ত, সব দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের । ফলে এ বারে চ্যালেঞ্জ বেশি। তিনি নির্দেশ দিয়েই বলেন, কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নাকা চেকিং করতে হবে। কড়া নজরদারি রাখতে হবে। স্পর্শকাতর এলাকায় বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। শহরের এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট গুলিতে নাকা তল্লাশির উপর জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলায় প্রথম ওমিক্রনের খোঁজ, আক্রান্ত হায়দ্রাবাদ ফেরত ৭ বছরের শিশু!
এ দিন দুপুরেই বাসন্তী হাইওয়ের উপর নাকা তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আধিকারিকরা। গাড়ি, মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চাওয়া হয়। গাড়ির ডিকি খুলে চলে তল্লাশি। কোথাও কোনও সন্দেহজনক বস্তু নিয়ে কেউ আসছে কিনা সেই সবদিক খতিয়ে দেখা হয়। শহরে এন্ট্রি এক্সিট পয়েন্ট গুলিতে এভাবেই নাকা তল্লাশি শুরু হয় পুরোভোটের আগে। সন্দেহ হলেই গাড়ি থামিয়ে চলে নাকা তল্লাশি। সব মিলিয়ে বলা যায় কলকাতা পুরভোট উপলক্ষে সব দিক থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কলকাতা পুলিশ পুরোদস্তুর তৈরী।
ARPITA HAZRA