জানা যায় রান্নাঘরে সেই সময় আবাসিকদের জন্য সকালের প্রাতঃরাশ বানাচ্ছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। রান্নাঘরের ছুরি দিয়েই দুজনকে কোপানো শুরু করে আচমকা ঢুকে পড়া ওই রোগী। আহত দু'জনকেই তৎক্ষণাৎ দক্ষিণ কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়, অপরজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। আহত দুজনের নাম রাজীব ডি কোস্টা এবং অরূপ নস্কর । ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: লেবু-লঙ্কা ঝুলিয়ে রাখা 'কুসংস্কার'? মোটেই নয়! পিছনের বিজ্ঞান জানলে হতবাক হয়ে যাবেন!
মূল অভিযুক্তকে আটক করার পরে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের প্রেসিডেন্ট মিহির দত্তকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। পুলিশকে তিনি জানান প্রায় একমাস আগে এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিল অভিযুক্ত অর্জুন গুপ্ত। মূলত গাঁজার আসক্তির কারণেই তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। তবে গত এক মাসে তাকে কখনোই খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায়নি। হঠাৎ ঠিক কী কারণে আজ অর্জুন এই ঘটনা ঘটালো তা তাদের কাছে অজানা। পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। অর্জুনের সঙ্গে আক্রান্ত দুজনের সম্প্রতি কোন বচসা হয়েছিল কিনা সেই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঠিক কোন বয়সে বিয়ে করলে পুরুষের আয়ু বাড়ে? ছোট সমীক্ষায় বড় চাঞ্চল্য!
হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, অপরজনকে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে দাবি অভিযুক্ত অর্জুনের অনভিজ্ঞ হাত হওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো গেছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করে দেওয়ার ফলে দুজনেই বিপদমুক্ত হয়েছেন, দাবি হাসপাতাল সূত্রে। প্রাথমিক তদন্তের পর এই ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে পুলিশের তরফে।
সাহ্নিক ঘোষ