জানা গিয়েছে, রামোদা রায় ও রামনরেশ রায় দুই ভাই। ঘটনাস্থলের পাশেই থাকে দুজনে।দুজনেরই পরিবারে ছেলেপুলে নাতিপুতি রয়েছে। রামোদা ও রামনরেশের সুসম্পর্ক থাকলেও, তাদের ছেলেমেয়েরা একে অন্যে রীতিমতো আদায় কাচঁকলায় সম্পর্ক। রামোদার ৬ ছেলে।তার মধ্যে একজন কারখানায় ৩ বছর আগে লোহা চুরি করতে গিয়ে মারা যায়।
আরও পড়ুন : IAS পরীক্ষার্থীদের মডেল প্রশ্ন সেটে এবার রাজ্যের 'SSC নিয়োগ দুর্নীতি'! দেওয়া হল উত্তরও
advertisement
জীবধ, বিনোদ, প্রকাশ, শিবধ, রিবধ এই পাঁচ জন ছেলে। এরা প্রত্যেকেই পুলিশের খাতায় অপরাধী বলে চিহ্নিত। অন্যদিকে রামনরেশের ছেলেরা দেবকুমার রায়,অবোধ রায়।দেবকুমারের ছেলে রাজু রায়। এরা প্রত্যেকেই খাটাল, ইত্যাদি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে। ওই খাটাল নিয়ে রামোদার ছেলেদের সঙ্গে আগে ঝামেলা হয়েছিল (Kolkata News)। তবে এই ঝামেলা দীর্ঘদিনের। জিবধ, এলাকায় একটি প্রমোটিং এর জন্য রাজুর কাছে থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল।
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কাজ সম্পূর্ণ হলে আড়াই লক্ষ টাকা ফেরৎ দেবে রাজুকে। সেই টাকা আজও দিচ্ছিল না। গতকাল সেই টাকা জীবধকে পুনরায় ফেরৎ দিতে বললে রাতেই জীবধ, বিনোদরা ঝামেলা শুরু করে। সেই ঝামেলা তিলজলা (Kolkata News) থানা পর্যন্ত গড়ায়। আজ সকালে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি খণ্ডযুদ্ধে (Tiljala Firing) পরিণত হয়। জীবধের অস্ত্রের আঘাতে রাজুর বাম হাত অনেকটা কেটে যায়। ওকে বাঁচাতে এলে ওর বাবা দেব কুমারের হাতও কেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাজুকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন : ফুটবল তো ছিলই, বাবুলের প্রচারে এবার নয়া 'চমক'! কিন্তু ভোটের আগেই হারলেন কার কাছে?
ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। এরইমধ্যে গতকাল রিজেন্ট পার্ক এলাকাতেও গুলিতে মৃত্যু হয় একজনের। আজ সকালে তিলজলার গুলি চলার (Tiljala Firing) ঘটনায় আঙুল উঠছে প্রশাসনের দিকে। সবার একটাই প্রশ্ন, কলকাতার মত একটি প্রশাসনিক দিক থেকে আটোসাটো শহরে কী ভাবে অবৈধ গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র দুষ্কৃতীদের হাতে চলে আসছে? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।