আশঙ্কা ছিল, কুকুরের কৃমি বাসা বেঁধেছে নদিয়ার বাসিন্দা ওই কিশোরীর ডিম্বাশয়ে। এমনকী, ডিম্বাশয়ে কয়েকশো ‘হাইডেটিড সিস্ট' তৈরি করেছে ইকানোকক্কাস নামক প্যারাসাইট। এনআরএসের স্ত্রীরোগ বিভাগের চিকিৎসকদের দাবি, ডিম্বাশয়ে এই ধরনের কৃমির বাসা বাঁধার ঘটনা অতি বিরল। কুকুর ঘাঁটাঘাঁটি করলে বা কুকুরের মল হাতে লাগলে এই ধরনের কৃমি সাধারণভাবে মানুষের লিভার বা ফুসফুসেই বাসা বাঁধে। তাই কৃমির উপস্থিতি আশঙ্কা করে অ্যালবেনডাজোল ওষুধ দেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগ হবে, জানুন
প্রাথমিকভাবে কিছুটা উপকার হলেও শেষমেশ অপারেশন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ, যেকোনও একটি সিস্ট ডিম্বাশয়ের মধ্যে ফাটলে ওই কিশোরীর জীবনসংশয় হতো। ঝুঁকি নিয়ে সম্প্রতি ‘ওপেন' সার্জারি করলেন নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। তাঁদের অনুমানই সত্য হল। আঙুরের থোকার মতো কয়েকশো সিস্ট দুই ডিম্বাশয়ে! সবচেয়ে নিরাপদ ছিল ডিম্বাশয় বাদ দেওয়া। কিন্তু, তাতে অদূর ভবিষ্যতে ওই কিশোরী আর মা হতে পারত না এবং ডিম্বাশয় থেকে বিভিন্ন নারী হরমোন নিঃসরণ না-হওয়ার কারণে নারীত্বও হারিয়ে ফেলত।
আরও পড়ুন: ১৩টি বিমানসংস্থায় তালা, ধুঁকছে দেশের বিমান পরিষেবা! বেহাল দশার কথা খুবই চিন্তার
একটি মেডিক্যাল ব্যাগ নীচে রেখে অতি সতর্কতায় সিস্ট গুলি ডিম্বাশয় থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। শেষমেষ নিরাপদেই সম্পন্ন হয় জটিল এই অস্ত্রোপচার। চিকিৎসকদের বক্তব্য সঠিক সময় চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন ওই কিশোরীর পরিবার। দেরি হলে নানা বিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হত ওই কিশোরীকে। চিকিৎসকদের এই সফল অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নদিয়ার ওই কিশোরীকে।